মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনা হলফনামা আকারে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট
কিশোরের জামিনের আদেশ কাল- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ মার্চ ২০২১, ০০:০০
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) মৃত্যুর ঘটনা লিখিতভাবে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। একই মামলায় কারাবন্দী কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আগামীকাল বুধবার আদেশের জন্য রেখেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার আসামি কার্টুনিস্ট কিশোরসহ মোশতাক আহমেদের জামিন আবেদন শুনানির জন্য ছিল।
শুনানিতে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, মুশতাক আহমেদ মৃত্যুবরণ করেছেন। তখন আদালত বলেন, সেটি আপনি হলফনামা আকারে জানান। তখন তার জামিন আবেদন অ্যাবেট (বাদ) করা হবে। জবাবে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে পারবেন। তিনি বলেন, তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে আমার সাবমিশন আছে। এ সময় আদালত বলেন, সে তো ভিন্ন কথা। মৃত্যুর কারণ যা-ই হোক। স্বাভাবিক মৃত্যু হোক বা দুর্ঘটনাজনিত হোকÑ সেটি তো আলাদা বিষয়। যেহেতু উনি নাই, সে কারণে আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজের কোনো সুযোগ নাই।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়।
জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৫, ৩১ এবং ৩৫ ধারায়। তাদের দু’জনকেই (মুশতাক আহমেদ ও আহমেদ কবির কিশোর) গত বছর ৫ মে গ্রেফতার করা হন।
কিশোরকে কাকরাইলের বাসা থেকে গ্রেফতার এবং তার বাসা থেকে মোবাইল, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক জব্দের বর্ণনা মামলার এজাহার থেকে তুলে ধরেন এ আইনজীবী। তিনি কিভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটালেন, এফআইআরের কোথাও তার উল্লেখ নেই। বিভ্রান্তি সৃষ্টি কিভাবে করলেন, তারও কোনো রকম বর্ণনা এই এফআইআর-এ নেই। কিশোর একজন কার্টুনিস্ট। কার্টুনিস্ট কী করেন? সারা পৃথিবীতে সরকারে যারা থাকেন, তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা, তাদের বিভিন্ন রকমের কার্ঠুন অঁাঁকাÑ এটা তো আজকে নতুন কোনো কিছু নয়।
আদালত বলেন, এজাহারে বলা হচ্ছে, কতগুলো অ্যাপ থেকে আসামিরা চ্যাট করেছেন, ফেসবুকেও দিয়েছেন। তখন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হোয়াটস অ্যাপ দিয়ে আমি চ্যাট করি আর ফেসবুকে দিই, সেটি তো আগে তাদের কাছে থাকতে হবে। উনারা সাইবার টহল দিয়েছেন। সাইবার টহল দিয়ে উনারা জানতে পেরেছেন।
এরপর আদালত বলেন, জানি না, হয়তো ফেসবুকে দেখার পরে চিহ্নিত করে তার কাছে গেছে। আমাদের দেশে তো এটা নতুন আইন। সবারই ধারণা কম। প্রশিক্ষিত লোকের অভাব, প্রশিক্ষিত তদন্তকারীর অভাব। এগুলো তো আছেই।
গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা