১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
অভিযোগটি দুদকে পাঠিয়েছে থানা

দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী পরিচয়ে প্রতারণা

-

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পল্টন মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি নং-৯৮৪) করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অভিযোগটি থানা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।
থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের পিও মো: রফিক, একই মন্ত্রণালয়ের ডেসপাস শাখার পিয়ন মো: রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ তাদের পরিচিত জমির আলী, মো: মোস্তাফা, মিজানুর রহমান, মনিরুল হক ও মো: আবিদ নামে সাত ব্যক্তির সাথে অভিযোগকারী খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা জাকির হোসেনের ব্যবসায়িক সূত্রে পরিচয় হয়। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চাকরি করায় অভিযুক্তরা মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের জন্য সরকারি নগদ টাকা, কম্বল, চাল ও ঢেউটিন পাইয়ে দিতে মৌখিক প্রস্তাব দেয়। পরবর্তী সময়ে তারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত কুমিল্লøা, খাগড়াছড়ি ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশসহ সাদা কাগজে কয়েকটি অনুমোদিত আবেদন দেখালে তিনি তাদের বিশ্বাস করেন। ত্রাণ পেতে অভিযুক্তরা জাকির হোসেনের কাছে খরচ দাবি করলে ভালো কিছু পাওয়ার আশায় তিনি তাদেরকে বিভিন্ন সময় মোট ১০ লাখ টাকা দেন। পরবর্তী সময়ে অভিযুক্তরা জানান, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের বরাবর ত্রাণের চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে ত্রাণ নিয়ে আসার জন্য বলেন। কিন্তু জাকির হোসেনের আত্মীয়-স্বজন বরাদ্দপত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ত্রাণ আনতে গেলে বরাদ্দপত্রগুলো ভুয়া বলে শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন থেকে জাকির হোসেনের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদেরকে জেলে পাঠায়।
জাকির হোসেন জানান, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দু’জন কর্মচারীসহ অভিযুক্তরা আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পর থেকে আমরা কোনো ত্রাণ পায়নি। তারা আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এখন ফোন দিলেও তারা রিসিভ করে না। কখনো কখনো ফোন ধরলেও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। জাকির হোসেন আরো বলেন, তারা শুধু আমার সাথেই নয়, আরো অনেকের সাথে প্রতারণা করে তাদের সর্বস্বান্ত করেছে।
এ দিকে পল্টন মডেল থানা অভিযোগটি আমলে নিয়ে এ ব্যাপারে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠিয়েছে। পুলিশের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মো: রফিক ও মো: রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী। তারা অন্যান্য আসামির সাথে যোগসাজশ করে প্রতারণামূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার সিল ও স্বাক্ষর জাল করে বাদির কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এ ব্যাপারে মামলার অভিযুক্ত ৬ নম্বর আসামি মো: মনিরুল হক টেলিফোনে নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি কুমিল্লার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা। জাকির হোসেনের সাথে অন্যরা প্রতারণা করেছে কি না আমি জানি না। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। বরং আমরা যখন জানতে পেরেছি ভুয়া কাগজ দিয়ে ত্রাণের আট বান্ডিল টিন দাউদকান্দি উপজেলায় নিয়ে একজন মেম্বারসহ অন্যরা মসজিদের জন্য নিয়ে গেছেন, তখন আমরা সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। আমরাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু সমর্থকদের মাতামাতি করতে মানা করলেন শান্ত বান্দরবানের কেউক্রাডং পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান : আটক ৮, অস্ত্র উদ্ধার স্বাধীনতা সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম নাটোর পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত কাঁঠালিয়ায় মাঠে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরে মৃত্যু সালমান খানের বাড়িতে গুলির ঘটনায় গ্রেফতার ২ আরো দুই সদস্য বাড়িয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন রাবির নতুন জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে অপরাধ না করেও আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল

সকল