২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন না থাকায় বাড়ছে বিয়ে সংক্রান্ত প্রতারণা

-

ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে রাকিবের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেছেন, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন না থাকায় বিবাহসংক্রান্ত প্রতারণা বাড়ছে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক খান, এ সময় তিনি বলেন সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী তামিমা তাম্মির বিয়ের ঘটনায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে রাকিবের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করার দাবি করছি।
এ ছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আইন উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওসার হোসাইন, এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, এ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা জেলা শাখার আহ্বায়ক হাদিউজ্জামান পলক, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও ইফতেখার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বলেন, ‘ববাহ ও তালাক নিবন্ধন ডিজিটাল না হওয়ার কারণে বিয়েসংক্রান্ত তথ্য গোপন করার মাধ্যমে প্রতারণার মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই সহজলভ্য না হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেকেই। ডিজিটালাইজড করা হলে অবশ্যই এই প্রতারণার হার কমে যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে রাকিবের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। সুষ্ঠু তদন্তকে যেন কোনো প্রভাবশালী মহল প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, রাকিবের দাবি এবং গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে আসা কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমরা চাই। রাকিব ও তামিমার বিয়ের কাবিনে তিন লাখ এক টাকা মোহরানা, কিন্তু তামিমার পাঠানো ডিভোর্স নোটিশে উল্লেখ করা হয় দুই লাখ টাকা দেনমোহর। তালাক নোটিশ যে বাসার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে তামিমা তাম্মি কোনোদিনও থাকেননি বলে দাবি করেছেন রাকিব। সংবাদ সম্মেলনে তালাকের কপি দেখিয়ে তাম্মি জানান, তালাকের এই কপি রাকিবের গ্রামের বাড়ি নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদেও পাঠানো হয়েছে। তবে এ রকম কোনো নোটিশ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাননি বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাকসুদুল হক মাকসুদ। বৃহস্পতিবার তিনি এ সংক্রান্ত রেজিস্টার দেখিয়ে বলেন, সাধারণ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এ জাতীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়। রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠানো হলে তা না আসার কোনো কারণ নেই। আমাদের রেজিস্টারে এ ধরনের নোটিশ আসার কোনো প্রমাণ লিপিবদ্ধ নেই। তাছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে যেরকম তোলপাড় চলছে তা জানার পর আমরা পুনরায় যাচাই করে দেখেছি কিন্তু কোনো ধরনের নোটিশ আসার রেকর্ড নেই।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দেখা যায় ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর নিজে রাকিব হাসানকে ‘তালাক নোটিশ’ দিয়েছেন। অন্যদিকে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলার ডকুমেন্টে পাসপোর্টের যে নথি সংযুক্ত করেছেন রাকিবের আইনজীবী ইশরাত হাসান সেটিতে দেখা যায়, ২০১৮ সালে করা পাসপোর্ট ইস্যুতে স্বামীর ঘরে রাকিব হাসানের নাম উল্লেখ করেছেন তামিমা। একই সাথে ইমার্জেন্সি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও রাকিব হাসানের নাম উল্লেখ রয়েছে। এই সব বিষয় বিবেচনা করে তদন্ত করার দাবি জানায় সংগঠনটির সদস্যরা।

 


আরো সংবাদ



premium cement