২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দেশে খুন-ধর্ষণ বেড়ে যাবে : কাদের

-

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবারো সরকারের এলে দেশে খুন-ধর্ষণ-নারী নির্যাতন বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, রক্ত দিয়ে অর্জিত এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলাকে করেছিলেন নিষিদ্ধ। স্বাধীনতার-পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিকভাবেই তার ভূমিকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছে। একজন সেক্টর কমান্ডারের এমন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি তোষণ ও পোষণ নীতিতে ইতিহাস নিজেই জিয়াউর রহমানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
গতকাল শনিবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সম্মেলনে যুক্ত হন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসের নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান বেনিফিশিয়িরি ছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানই খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন। বিভিন্ন দূতাবাসে দিয়েছেন চাকরি এবং খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতেও সহযোগিতা করছেন। জেনারেল জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক। এসব বিষয় বিএনপিকে উপলদ্ধি করার আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসকে বিকিয়ে দিয়ে রাজনীতির ইতিবাচকতা ফিরিয়ে আনা যাবে না। রাজনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফেরাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। জেনারেল জিয়া রাজনীতিকে কলুষিত এবং হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে রূপ দিয়েছিলেন। গণতন্ত্রকে করেছিলেন মুঠোবন্দী। বিএনপি আবারো সরকারে এলে এসব ফিরে আসবে এবং দেশে খুন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বেড়ে যাবে। এ সময় তিনি সব অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আজকের পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্যান্য ধাপের মতো আগামীকালের (আজ) নির্বাচনেও সরকার কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করবে না। তৃণমূলে জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে এগিয়ে নিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রার্থীতাসহ অন্যান্য বিষয়ে দলীয় নির্দেশনা বা গাইড লাইন ইতোমধ্যেই জেলায় পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়ন কমিটি সভায় এক থেকে তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে দলের ইউনিয়ন কমিটির রেজ্যুলেশন বা লিখিত সুপারিশ উপজেলা ও জেলা কমিটির স্বাক্ষরসহ দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। স্থানীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুপারিশ করা নামগুলো যাচাই-বাছাই ও বিভিন্ন জরিপ শেষে দলীয় সভাপতির নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবে। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূলের কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিতর্কিত ও বসন্তের কোকিলদের দলে আনা যাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement