২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বীমা করে এক হাজার টাকায় ১ জন শ্রমিকের বছরব্যাপী চিকিৎসা দেয়া যায়

-

মাত্র এক হাজার টাকা খরচ করে একজন শ্রমিককে বীমার আওতায় আনলে তাকে সারা বছরই বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া যায়। এভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ৪২ লাখ শ্রমিককে বীমার আওতায় আনা যায় সামান্য কিছু বিনিয়োগ করলেই। এতে শ্রমিকরা সুস্থ থাকবেন এবং জাতীয় উৎপাদনও বাড়বে এবং অর্থনীতিতে তাদের অবদান বাড়বে। অপর দিকে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যসুবিধা না পাওয়ায় ৪৩ শতাংশ শ্রমিকই বছরের বিভিন্ন সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ফলে এদের অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতির কারণে বেতন কাটা যাচ্ছে। এ ছাড়া ৪০ শতাংশ গার্মেন্টশ্রমিক স্বাস্থ্যসেবার উচ্চমূল্যের কারণে যথাসময়ে চিকিৎসা করতে পারেন না। কিন্তু বীমার আওতায় আনলে প্রিমিয়ামের টাকা হিসেবে একজন শ্রমিক বছরে ৩৬৫ টাকা (দৈনিক এক টাকা হারে), মালিক ৩৬৫ টাকা এবং সরকার ২৭০ টাকা দিলে সারা বছরই ৪২ লাখ শ্রমিক বিনামূল্যে চিকিৎসা পেতে পারেন।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটে এ সংক্রান্ত এক সভায় ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসুবিধা ও বীমা সংক্রান্ত গবেষণা রিপোর্ট উদ্ধৃত করে এসব তথ্য জানান।
সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে একটি গবেষণা থেকে গবেষক দলটি দেখিয়েছে যে, শ্রমিক, মালিক এবং সরকার বীমার খুব সামান্য এই প্রিমিয়াম প্রদান করলে গার্মেন্টসের ৪২ লাখ শ্রমিককে একটি টেকসই বীমার আওতায় এনে সারা বছর চিকিৎসা দেয়া যায়।
ড. হামিদ বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি এনজিও এবং বেসরকারি সংস্থা ঢাকার তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ৫৮ হাজার ২৬১ জনকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় এনে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। এই সংখ্যাটি অবশ্য তৈরি পোশাক শিল্পের মোট শ্রমিকদের মাত্র এক শতাংশ। এসব প্রতিষ্ঠান ও এনজিও শ্রমিকদের বছরে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার স্বাস্থ্য বীমার আওতায় এনে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। পরীক্ষামূলক এই সুবিধায় প্রতিটি শ্রমিককে দিতে হয়েছে ৫১০ থেকে ৬০০ টাকা। ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, পরীক্ষামূলক এসব স্বাস্থ্য বীমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচের চার কোটি ৮০ লাখ মানুষের মধ্যেও স্বাস্থ্য বীমা চালু করা যেতে পারে যদি সরকার এগিয়ে আসে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে গবেষণার বিষয়গুলো প্রকাশ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. নাসরিন সুলতানা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ ও সেক্রেটারি রাশেদ রাব্বি।


আরো সংবাদ



premium cement
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার

সকল