জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ওপর অবিচার হচ্ছে

জলবায়ু পরিবর্তনের বড় দায় গুটিকয়েক দেশের হলেও এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ওপর অবিচার হচ্ছে। এর ঝুঁকি মোকাবেলায় এ খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তারা এ কথা বলেন।
ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় সার্চিং ওয়েজ ফরওয়ার্ড ফর বাংলাদেশ ইন দ্যা টাইম অব প্যান্ডেমিক, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট চ্যালেঞ্জেস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক এ ওয়েবিনারে পলিসি ব্রিফও প্রকাশ করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী, পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান, পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি আর্কিটেক্ট মোবাশ্বের হোসেন।
ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
ড. আতিক রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বৈশ্বিক সমস্যা হলেও এ পরিস্থিতির বড় দায় গুটিকয়েক দেশের। এ ঝুঁকি মোকাবেলায় অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশসমূহকে অবশ্যই কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা এবং ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দেশ যাদের জলবায়ু বিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় এদেশের মানুষের সংগ্রামী প্রবণতাও প্রশংসনীয়। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
মোবাশ্বের হোসেন ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে বৃষ্টির পানির সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ কিভাবে বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াচ্ছে বা ভবিষ্যতে কিভাবে খাপ খাওয়াবে সেটার উপর প্রাধান্য দিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জনগণ এবং সরকারকে সম্মিলিতভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সময় খেয়াল রাখতে হবে তা যেন পরিবেশকে ক্ষতির মুখে ফেলে নয়া দেয়।
ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উপর অবিচার হচ্ছে। তাপমাত্রা যদি এক ডিগ্রি বাড়ে তাহলে বাংলাদেশের ১১ থেকে ১৫ শতাংশ জায়গা পানির নিচে চলে যেতে পারে। পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিককালে ঘূর্ণিঝড় বেড়ে যাওয়ার প্রবণতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।