হামিদুল হত্যাকাণ্ডে ৫ ছিনতাইকারী গ্রেফতার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:১৪
হাইকোর্টের পাশে কদম ফোয়ারার সামনে হামিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেনÑ সোহেল ওরফে এরাবিয়ান হোসেন, জাহিদ হোসেন, শুকুর আলী, শাকিল ওরফে ডুম্বাস ও সোহেল মিয়া। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছেÑ ছিনতাই করতে গিয়ে হামিদুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, মানিব্যাগ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতরা সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের মধ্যে শাকিলের একটি হাত নেই। যার কারণে প্রতিবন্ধী হিসেবে সে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালায়। তার এই রিকশা ব্যবহার করে অন্যরা ছিনতাই করে থাকে।
তিনি বলেন, জাসদ নেতা হামিদুল ইসলাম গত ২৫ বছর ধরে সেগুন বাগিচা ও হাইকোর্ট এলাকায় ক্যাবল নেটওয়ার্কের (ডিশ) ব্যবসা করতেন। পরিবার নিয়ে থাকতেন সেগুন বাগিচা এলাকায়। ২৩ জানুয়ারি রাতে তার সিদ্দিক বাজারে থাকা ফ্ল্যাটের ভাড়া নিয়ে ম্যানেজার দেখা করতে আসে। দু’জনে হাইকোর্ট বটতলার একটি দোকানে চা পান করেন। এরপর হামিদুল বাসার দিকে রওনা হন। তারা ব্যাটারিচালিত রিকশা করে হাইকোর্টের মাজার গেটের বিপরীত পাশে এসে অবস্থান করে। এ দিকে শাকিল ওরফে ডুম্বাস ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে কদম ফোয়ার সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাকি চারজন হাইকোর্টে ঈদগাহ মাঠের সামনে ফুটপাথের ওপরে হামিদুলের গতি রোধ করে তার কাছ থেকে একটি স্যামসাং এ ২১-এস মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এ সময় হামিদুলের পকেটে থাকা বাসাভাড়ার টাকা নিতে গেলে তিনি চিৎকার করেন। তখন সোহেল চাকু দিয়ে তাকে আঘাত করলে তিনি মারা যান।
হাফিজ আক্তার বলেন, ঘটনার পর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ডিবি রমনা বিভাগ বিষয়টি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। সোর্স এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের একপর্যায়ে ডিবি পুলিশ আসামিদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ আরো জানায়, একটি হাত কাটা থাকায় মানবিক কারণে পুলিশ শাকিলকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে বাধা দেয়নি। ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় সে নির্বিঘেœ রিকশা চালায়। গ্রেফতারের পর জানা যায় সে পেশাদার ছিনতাইকারী।
হাফিজ আক্তার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গ্রেফতার সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ১০টি করে ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। প্রত্যেকবারই তারা জামিনে বেরিয়ে একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
ছিনতাইয়ের মামলা বা অভিযোগ নিতে পুলিশের অনীহা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, থানায় ভুক্তভোগীদের ছিনতাইয়ের মামলা না নিলে ঊর্ধ্বতনদের জানাবেন। পাশাপাশি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা না করার প্রবণতাও রয়েছে। তবে সেটি না করে থানায় অভিযোগ করতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা