রাজশাহীতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
- রাজশাহী ব্যুরো
- ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:১৪
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত চিকিৎসক মামুন-অর-রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানেসথেসিয়া ডিপ্লোমা করছেন। সেখান থেকেই কোর্স সম্পন্ন করতে এসেছেন রামেক হাসপাতালে। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
রামেক হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সদ্য চাকরিতে যোগ দেয়া একজন নার্স অভিযোগ করেন, গত ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি ডা: মামুনের দ্বারা তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন। ওই নার্স বিষয়টি সহকর্মীদের জানালে নার্সরা তা হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীকে জানান। সেখানে ডা: মামুন তার দোষ স্বীকার করেন। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে ডা: মামুনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন হাসপাতালের পরিচালক। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: হাবিবুল্লা সরকারকে।
অভিযুক্ত চিকিৎসক মামুন-অর-রহমান সাংবাদিকদের জানান, একটা সমস্যা হয়েছে। স্যারেরা তদন্ত করে দেখছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। অভিযুক্ত চিকিৎসককে ২০ জানুয়ারিই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নার্সদের বিক্ষোভ : এ দিকে ঘটনার তদন্ত নিয়ে গড়িমসির প্রতিবাদে হাসপাতালের নার্সেরা মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। কর্মসূচি থেকে তারা চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, কমিটিতে একজন নার্স, আর বাকি চারজনই চিকিৎসক। তারা ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন নার্সেরা।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের রামেক হাসপাতাল শাখার ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির রামেক শাখার সভাপতি শাহাদাতুন নূর লাকি। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খলিলুর রহমান। বক্তারা বলেন, ঘটনার পর লম্বা সময় পার হলেও অভিযুক্ত চিকিৎসককে শুধু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ছাড়া অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিতেও গড়িমসি করছেন। এই গড়িমসি তারা মেনে নেবেন না। অভিযুক্ত চিকিৎসক পার পেলে তারা আরো বড় কর্মসূচি দেবেন।
এ ব্যাপারে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: সাইফুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত কমিটি নিজেদের মতো করেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন আসেনি। শুনেই নার্সেরা বিক্ষোভ করেছেন বলে শুনলাম। আমরা বিষয়টি দেখছি। কেউ অপরাধ করে থাকলে ছাড় পাবেন না বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা