২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সময়ে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে

পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আশাবাদ
-

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সময়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র আবারো প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যোগ দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমারে গণহত্যা সংঘঠিত হয়েছে কি না- তা খতিয়ে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারকে আমরা স্বাগত জানাই। নতুন উদ্যোগগুলোর জন্য তাদের ধন্যবাদ।
গতকাল রাজধানীতে আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স (অ্যামচেম) আয়োজিত সাংবাদিকদের পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কথা বলেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেম প্রেসিডেন্ট আরশাদ আহমেদ।
ড. মোমেন বলেন, নতুন সরকারের সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বাড়াতে এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে অ্যামচেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের কল্যাণমুখী চিন্তা-ভাবনায় যথেষ্ট মিল রয়েছে। এর কিছু ইঙ্গিত আমরা এখনই পাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক খবরই বেশি ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা যে, এটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ, অবৈধভাবে অভিবাসনের উদ্দেশ্যে যাওয়া বাংলাদেশীরা ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরছে অথবা বিদেশী রাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলেও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাছাই করে রাজনৈতিক সঙ্কট, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ধর্ষণ ইত্যাদির ওপর প্রতিবেদন দেয়ার আগ্রহ বেশি দেখা যায়।
ড. মোমেন বলেন, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ১৮ জন এবং ও ২০২০ সালে ১৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একই সময়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা ব্যতিরেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের হাতে যথাক্রমে ৯৯৬ জন এবং এক হাজার চারজন মানুষ মারা গেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশে ৯ হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮৪ হাজার ৭৬৭ জন নারী। কিন্তু গুগলে খোঁজ করলে বাংলাদেশের নামই শিরোনামে উঠে আসে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব (গ্রিন) কারখানাগুলোতে ৪০ লাখ নারী কাজ করছেন। অথচ আমাদের ইটভাটায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাচ্চা নিয়ে কাজ করা নারীদের ছবিই বেশি চোখে পড়ে। তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পেশায় নারী-পুরুষ কাজ করছেন। কিন্তু আমাদের মিডিয়ায় তা প্রাধান্য পায় না। ক্ষেত্র বিশেষে আমাদের মিডিয়া নেতিবাচক খবর প্রচারেই বেশি আনন্দ পায়।
করোনা মহামারীর মধ্যে সম্মুখ সারিতে কাজ করা সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করায় অ্যামচেমকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এই স্বীকৃতি সাংবাদিকদের উচ্চ নৈতিকতার মান ধরে রেখে জনগণ ও দেশের স্বার্থে সংবাদ প্রচারে উৎসাহিত করবে।


আরো সংবাদ



premium cement