২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ২ মানহানির মামলার ১টি খারিজ অন্যটি প্রত্যাহার

-

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা দুইটি মামলার একটি প্রত্যাহার, একটি খারিজ। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ বাদিী কাজী আনিসুর রহমান মামলাটি গ্রহণের কোনো উপাদান না থাকায় খারিজের আদেশ দেন। অন্য দিকে আইনজীবী মো: সারোয়ার আলম মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানি এ দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলার বাদি কাজী আনিসুর রহমান, অন্যটির বাদি আইনজীবী মো: সারোয়ার আলম। আদালত বাদির জবানবন্দী গ্রহণ করে আদেশের জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। সে মতে গতকাল একটি মামলা প্রত্যাহার ও অপর মামলাটি খারিজ করে দেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট এলাকার কদম ফোয়ারার সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে সাঈদ খোকন অভিযোগ করেন, ‘তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। এই টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তিনি লাভ করেছেন এবং করছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯(২)(জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলছেন। আমি তাকে বলব, রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিন।’
অ্যাডভোকেট মো: সারোয়ার আলম মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আসামি সাঈদ খোকন গত ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে ১টা মধ্যে জাতীয় ঈদগাহ গেটের সামনে ফুলবাড়িয়া মার্কেটের উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তার বক্তব্যে বলেন, ‘তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন, আমি তাকে বলব রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। কেননা দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম তার নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। তারপর চুনোপুঁটিদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। অথচ তিনি উল্টো কাজ করছেন। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তাপস ডিএসসিসির শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন।’
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘গত রোববার আসামি সাঈদ খোকনের এই বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ব্যারিস্টার শেখ ফলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে আসামি সাঈদ খোকন দণ্ডবিধি আইনের ৫০০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।’
অভিযোগে বাদি বলেন, ‘মামলার বাদি গত রোববার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় শাহবাগ থানায় হাজির হয়ে এজাহার দায়ের করতে চাইলে থানা কর্তৃপক্ষ এজাহার না দিয়ে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন। এমতাবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৫০০ ধারায় অপরাধ আমলে গ্রহণ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে জেলহাজতে আটক রাখার জন্য আবেদন করছি।’


আরো সংবাদ



premium cement