২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

থমকে আছে রমনা পার্কের আধুনিকায়ন

-

আটকে রয়েছে রমনা পার্কের আধুনিকায়ন। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এসেও লেকের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। জানা গেছে ৬৮ দশমিক ৫ একরের সমতল ভূমি এবং ৮ দশমিক ৭৬ একরের লেকের এ পার্কটিতে নকশাসংক্রান্ত জটিলতায় আটকে রয়েছে এই আধুনিকায়নের কাজ। ফলে পার্কের লেক ঘিরে সৌন্দর্যবর্ধনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেও তা নিয়ে এগোতে পারেনি গণপূর্ত অধিদফতর। নকশা অনুমোদন না হওয়ায় এ পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পও আপাতত বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ নামে দুই বছর মেয়াদি প্রকল্প এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৪৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ উন্নয়নকাজটির নকশা করা হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে। এখানে লেক পুনঃখনন করে এর দৈর্ঘ্য বাড়ানো ছাড়াও দর্শনার্থীদের বসার আধুনিক বেঞ্চ নির্মাণ এবং পুরাতন ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার ফুটপাথের পরিবর্তে সিরামিক ইটের রাস্তা নির্মাণ করার কথা।
গণপূর্ত অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, রমনা পার্ক উন্নয়নের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা থেকে গণপূর্ত অধিদফতরকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর সংস্থাটি একটি ডিপিপি তৈরি করে তা অনুমোদন করিয়ে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কাজও দেয়। কিন্তু কাজ পাওয়ার পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কিছু ওয়াকওয়ে নির্মাণ ছাড়া মূল কাজে হাতই দিতে পারেনি।
গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী (নগর বিভাগ) জানান, রমনার লেক প্রশস্তকরণ, খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজটি একটু ব্যতিক্রম। সেখানে কাজ করতে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের সাথে সমন্বয় করতে হয়। তাই সব কিছু শেষ করে স্থাপত্য অধিদফতর থেকে নকশা তৈরি করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন না আসা পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
বর্তমান নকশা অনুযায়ী পার্কে সৌন্দর্য বাড়াতে উন্নত দেশের মতো লেক পাড়ে নির্মাণ করা হবে উডেন ডেক। থাকবে পানির ফোয়ারা, লেক আইল্যান্ড, অত্যাধুনিক তিনটি গণশৌচাগার ও ১১টি উন্মুক্ত কফি কর্নার। কৃত্রিম লেকের নান্দনিকতার সাথে মিল রেখে ১৫ ফুট প্রস্থ মাইক্রো পাইল আর সিসি ফেয়ার ফেস ফ্রেম এবং স্টিল জয়েন্ট দিয়ে এমএস পাইপের মাধ্যমে দু’টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। লেকের মাঝামাঝিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টির লক্ষ্য পানিতে ডুবন্ত একশ’ ফুট ডায়াগ্রামের ৮ ইঞ্চি পুরু রিটেইনিং ওয়ালের ভেতর মাটি ভরাট ও বনায়ন করা হবে।
এ ছাড়া পার্কে দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে ১১টি উন্মুক্ত কফি কর্নার। শিশু কর্নারে যুক্ত হবে আধুনিক সব রাইড। পার্কের ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার ফুটপাথে বসানো হবে সিরামিক ইট। লেক পুনঃখননের মাধ্যমে সারা বছর পানি রাখার ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা ও ল্যান্ডস্কেপিং বনায়ন করা হবে।
জানা যায়, ১৯০৮ সালের দিকে রমনাসহ ঢাকা শহরে নিসর্গ পরিকল্পনার কাজ শুরু করেন লন্ডনের কিউ বোটানিক গার্ডেনের অন্যতম কর্মী রবার্ট লুইস প্রাউডলক। তার তত্ত্বাবধানেই গড়ে ওঠে রমনাকেন্দ্রিক নিসর্গ শোভা। তিনি বিশ্বের অন্যান্য উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের দৃষ্টিনন্দন বৃক্ষগুলো ঢাকায় এনে রোপণের ব্যবস্থা করেন।
রমনা শিশু পার্ক অবশ্য অনেক পরে ১৯৫২ সালের দিকে হয়েছে। ৬৮ দশমিক ৫ একর জমি ও ৮ দশমিক ৭৬ একরের লেক নিয়ে পার্কটি গড়ে ওঠে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসের অন্যতম নির্মাতা মরহুম ফজলুল করিমের হাতেই এর সূচনা। নানা প্রজাতির বৃক্ষশোভা ছাড়াও পার্কের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পার্কের বিভিন্ন বয়সী, বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা সুদীর্ঘ সময়ের ফসল। বৈচিত্র্য থাকায় সারা বছরই গাছে কিছু না কিছু ফুল থাকে। প্রায় পাঁচ হাজার গাছ আছে এই পার্কে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি

সকল