২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হাইড্রোলিক টেস্ট সম্পন্নv

-

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টর কুল্যান্ট পাম্প (আরসিপিএস) হাউজিংয়ের হাইড্রোলিক টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। রাশিয়ার জেএসসি এইএম টেকনোলজির (রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় রোসাটমের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শাখা অ্যাটোম এনারগোম্যাস ও রাশিয়ান প্রকৌশল ইউনিয়নের কেরেলিন আঞ্চলিক শাখা) পেট্রযাভদস্কমাস শাখায় এই পরীক্ষা করা হয়। এটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের অংশবিশেষ। গত বুধবার রাতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটম প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাইড্রোলিক টেস্ট সম্পন্নের খবর জানা গেছে।
জানা গেছে, পাম্প হাউজিং প্রস্তুতির সময় হাইড্রোলিক টেস্টিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। যন্ত্রাংশগুলোর স্ট্রেন্থ ও টাইটনেস যথার্থ হওয়া আবশ্যক। শিডিউল অনুযায়ী আরসিপিএসের মধ্যে প্রথমে বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত পানি ভরা হয়, পরে একে তাপে স্টিম করা হয়। হাউজিং ওয়াল উত্তপ্ত করার ন্যূনতম তাপমাত্রা হলো ৫২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। প্রেসারকে ২৪.৫ এমপিএ-তে নিতে হয় (২৪০ অ্যাটমোস্ফিয়ারের থেকেও বেশি) এবং ১০ মিনিট ধরে রাখতে হয়। প্রেসার কমিয়ে আনার পরে ভিজুয়াল ইন্সপেকশন করা হয়। পরের ধাপে আরসিপিএসকে হাউজিংকে অনেকবার তরল পেনেট্রেন্ট টেস্টিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এরপর এই যন্ত্রাংশগুলোকে কাস্টমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
আরসিপিএস হাউজিং প্রথম শ্রেণীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি অংশ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে, রিঅ্যাক্টর কুল্যান্ট পাম্প রিঅ্যাক্টর থেকে স্টিম জেনারেটরে কুল্যান্ট সার্কুলেশন সরবরাহ করে। কুল্যান্ট প্রেসারের অভ্যন্তরে ১৬০ অ্যাটমোস্ফিয়ারে এবং ৩০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় পরিচালনা করা হয়। প্রত্যেকটি ইউনিটে চারটি গোলাকার আরসিপিএস পাম্প হাউজিং থাকে।
রাশিয়ার সহযোগিতায় ঈশ্বরদীর রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ। রূপপুরে দু’টি ইউনিটে ভিভিইআর ১২০০ মডেলের রিঅ্যাক্টর বসছে। এর কর্মক্ষমতা ৬০ বছর। তবে আরো ২০ বছর বাড়ানো যায়। প্রত্যেক ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট যথাক্রমে ২০২৩ ও ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। রাশিয়ার এইএম টেকনোলজি কোম্পানি দু’টি ইউনিটের রিঅ্যাক্টর হলের মূল যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান আমলের ১৯৬১ সালে প্রকল্পটি নির্মাণের প্রথম প্রস্তাব করা হয়। এ সময় তৎকালীন সরকার ২৫৩ দশমিক ৯০ একর জমি বরাদ্দ দেয়। ওই সরকার বেশ কিছু পর্যালোচনার ভিত্তিতে ১৯৬৩ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুরে ৭০ মেগাওয়াটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement