বিলুপ্তপ্রায় শামুকের কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য রাবি গবেষকদের
- রাবি সংবাদদাতা
- ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
দেশে বিভিন্ন জায়গায় এখন শামুক বলতে গেলে প্রায় বিলুপ্তির পথে। বিলুপ্তির পথে থাকা এই শামুক সংরক্ষণে কৃত্রিম প্রজনন করে সাফল্য পেয়েছেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) গবেষকদল। এটি বিশে^র প্রথম গেছো শামুকের কৃত্রিম প্রজনন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।
জানা গেছে, শামুক নিয়ে এ বছরের মার্চে গবেষণা শুরু হয় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার শোভনের হাত ধরে। গবেষক ও গবেষণা সহকারী বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হিল কাফি ও রূপময় তংচঙ্গা নামের দুই শিক্ষার্থী রাজশাহী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের দু’টি জায়গা থেকে দু’টি গেছো শামুক সংগ্রহ করেন। গবেষণা শুরুর ৯ মাসের পরিশ্রমে এই সফলতা অর্জন হলো বলে জানান অধ্যাপক শোভন।
শামুকটি সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজশাহীর শামুকটি দিয়ে প্রজনন সফলতা পাওয়া গেছে। পাঁচটি বাচ্চা পেয়েছি। শামুকটির আদি নিবাস আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। লিগ্যাস প্রজাতির হতে পারে বলে ধারণা করছি। এর আগে দেশী শামুকের বিষয়ে একটি সার্ভে করেছি। সেখানে দেখতে পেয়েছি, এই গেছো শামুক খুবই দুর্লভ প্রকৃতির। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জায়গায় আছে। দু’ বছর ধরে খুঁজছিলাম, কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খুঁজে পেয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মূলত হারিয়ে যেতে বসেছে এই শামুকগুলো।
দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ২০১৮ থেকে চলা প্রকল্পের একটা অংশ হিসেবে এই শামুক সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছেন তিনি ও তার গবেষকদল। অধ্যাপক শোভন জাপানের কয়েকজন গবেষক বন্ধুর সাথে দুই বছর ধরে এই গবেষণা প্রকল্পের সাথে যুক্ত থেকে গবেষণা করছেন।
এ দিকে কোনো সংরক্ষণে কী উপকার পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক শোভন বলেন, উদ্ভিদের গায়ে কিছু ক্ষতিকর অণুজীব লেগে থাকে। সেগুলো খেয়ে উদ্ভিদকে রক্ষা করে এই শামুক। এর আগে হাওয়াইতে ডেভিসসিসকো নামের একজন গবেষক সাধারণ শামুকের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা পান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা