২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাগুরায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ও গোসাইয়েরহাটে চাকরির প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণ

-

মাগুরায় স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্য দিকে শরীয়তপুরের গোসাইয়েরহাটে চাকরির প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে এক বখাটে।
মাগুরা সংবাদদাতা জানান, মাগুরায় স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে স্ত্রীকে গণধষর্ণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে রোববার সন্ধ্যায় মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মাগুরা সদর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, এ ঘটনায় ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূ নিজেই রোববার মাগুরা সদর থানায় অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার জাগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী নিজেই।
ধর্ষিতার স্বামী সিদ্দিক জোয়ার্দার জানান, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বন্দেখালি গ্রাম থেকে বিশ দিন আগে দিনমজুর হিসেবে অন্যের জমিতে ধান সংগ্রহের কাজ করতে আসি মাগুরা সদরের জাগলা গ্রামে। আমরা স্বামী-স্ত্রী এলাকার মাঠেই তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছিলাম। শনিবার রাতে আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে পাঁচজনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দুষ্কৃৃতিকারী অস্ত্রের মুখে আমাকে গাছের সাথে বেঁধে আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় আমার কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকাও তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার অনন্যা জানান, সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের ভিকটিম আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। তবে সদর থানার মাধ্যমে এসেছিল তার পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
শরীয়তপুর সংবাদদাতা জানান, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূ (১৯) কে রিজভি সরদার নামে এক প্রতারক গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। রিজভি সরদার ওই হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় আমির হোসেন সরদারের ভাতিজা। গত রোববার বেলা ১১টায় গোসাইরহাট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের একটি কক্ষে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রিজভি শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মাহামুদপুর গ্রামের মৃত তেলাম সরদারের ছেলে। এই ঘটনায় গতকাল শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে।
মামলা ও ধর্ষিতার অভিযোগে জানা গেছে, ধর্ষিতা একজন গৃহিণী ও কলেজছাত্রী। এই বছর তিনি এইচএসসি পাস করেছেন। বিগত দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী প্রবাসে থাকে। রিজভি তার পাশের গ্রামে বসবাস করে এবং তার ছোট ভাইয়ের সাথে পড়াশুনা করেন ওই গৃহবধূ। কিছুদিন যাবৎ এনজিওতে চাকরি দেয়ার কথাও বলে রিজভি। ২১ নভেম্বর চাকরির সাক্ষাৎকার দেয়ার কথা বলে সে ওই গৃহবধূকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সোহাগ হাসপাতাল কোয়ার্টারের একটা কক্ষ খুলে দিলে সেই কক্ষে মেয়েটিকে আটকে রেখে হাত ও মুখ বেঁধে রিজভি ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। একপর্যায়ে গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে লোকজন এসে রিজভিকে আটক করে। পরে রিজভির চাচা ওই হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় আমির হোসেন সরদার রিজভিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে মেয়েটি আদালতে এসে রিজভির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
রিজভির চাচা ও গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় ও ধর্ষকের চাচা আমির হোসেন সরদার বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মৃধা নজরুল কবির বলেন, মেয়েটিকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement