২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নোয়াখালী ও শরীয়তপুরে শিশু-কিশোরী ধর্ষণ : ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

-

নোয়াখালী ও শরীয়তপুরে আবারো শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বিল্লাল হাসেন সুমন (৩২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাদি হয়ে শনিবার ধর্ষক সুমনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই কিশোরীর ভুক্তভোগী বাবা। এরপরই শনিবার দিবাগত রাতে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে উপজেলার চৌমুহনী পৌর করিমপুর আলো ব্যাপারি বাড়ির খালপাড়ের কামাল উদ্দিন ওরফে হুক্কার ছেলে এবং স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা।
গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় করিমপুরে বসতঘরের দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ নেতা সুমন। বেগমগঞ্জ থানার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাত ২টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌর করিমপুর এলাকায় বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ নেতা সুমন। পরে মেয়েটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে শনিবার ধর্ষক সুমনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপরই ধর্ষক সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শরীয়তপুর সংবাদদাতা জানান, ভেদরগঞ্জে আট বছরে এক কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে ধর্ষণের বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে সাত দিন পর গত শনিবার রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল রোববার দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। মামলার এজাহার, ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে আট বছর বয়সী মেয়ে ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী গত ১৭ অক্টোবর দুপুরে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের মামলায় অভিযুক্ত শিশির নামে নবম শ্রেণীর এক ছাত্র শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী বাগানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হলে বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। ধর্ষিতা শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তার পরিবার ভেদরগঞ্জ স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা (ক্ষতস্থানে সেলাই) করেন। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ব্যাপক জানাজানি হলে ঘটনার সাত দিন পর গত শনিবার রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে একজনকে আসামি করে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে মামলায় অভিযুক্ত শিশির পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদি বলেন, আমার ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করে ক্ষতবিক্ষত করেছে। আমি এর ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি।
ভিকটিমের দাদী জানান, ধর্ষণের সাত দিন পার হয়ে গেলেও থানায় যেতে পারিনি। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় নাতনীকে নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করতে সক্ষম হয়েছি।
ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ বি এম রশিদুল বারি বলেন, ধর্ষণের ঘটনার সাত দিন পর শিশুটির বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। শিশুটিকে গতকাল রোববার দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। মামলার তদন্ত ও আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement