২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

সাবেক এমপি আউয়াল দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের

-

পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের প্রায় ৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, গতকাল বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ উপপরিচালক মো: আলী আকবর বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দু’টি দায়ের করেন।
মামলা দু’টিতে এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার এবং লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ কে এম এ আউয়াল অবৈধ উপায়ে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথথ্য গোপন করেছেন। দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিকানার তথ্য রয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথথ্য দেয়ায় পৃথক মামলায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে আউয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে খাসজমি দখলের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করেছিল দুদক। ওই মামলাগুলোর একটিতে আউয়ালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ছয়জন ভুয়া ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গা লিজের নামে সেখানে স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে তিনতলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। ওই ভবন পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দেয়া হয়েছে।
একই প্রক্রিয়ায় স্বরূপকাঠি উপজেলায় ডাক বাংলোর কাছে সরকারি খাসজমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাক বাংলো নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে। পিরোজপুরের খুমুরিয়া মৌজার জেএল-৪৬, খতিয়ান নং-২৯৩ ও রাজার পুকুর নামে পরিচিত ৪৪ শতক সরকারি খাসজমির চারদিকে প্রাচীর নির্মাণ করে দখলে রাখার অপরাধে এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি করে দুদক।

 


আরো সংবাদ



premium cement