২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যক্ষ্মা শক্তি বাড়াচ্ছে ছড়াচ্ছে অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতির মাধ্যমেও

-

যক্ষ্মার জীবাণু শক্তি বাড়াচ্ছে। আগে ফুসফুসে যক্ষ্মা আক্রান্ত বেশি পরিমাণে শনাক্ত হলেও এখন অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতির মাধ্যমে যক্ষ্মা জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। ল্যাপারোস্কোপিকের মাধ্যমে অস্ত্রোপচারের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে যক্ষ্মার জীবাণু বাসা বাঁধছে। এসব স্থানে যক্ষ্মা শনাক্ত করতে না পারায় মানুষ ভুগছে অনেক দিন। মহিলাদের জরায়ুতেও যক্ষ্মার জীবাণু প্রবেশ করছে। ফলে অনেক মহিলা সারাজীবন বন্ধ্যাত্ব নিয়ে জীবনযাপন করছে।
গতকাল ‘কোভিড প্রেক্ষাপটে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: এ বি এম খুরশীদ আলম তার অভিজ্ঞতা থেকে যক্ষ্মা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তিনি জানান, এমনকি সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে মায়েরা যক্ষ্মার জীবাণুতে আক্রান্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ব্র্যাকের আয়োজনে এ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় বৈঠকে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এএসপি বিভাগের লাইন পরিচালক অধ্যাপক ডা: মো: সামিউল ইসলাম, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজ অ্যান্ড ওয়াশ প্রোগ্রামের পরিচালক ড. মো: আকরামুল ইসলাম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা: শাকিল আহমেদ, এমডিআর টিবি উপদেষ্টা ডা: মো: আবদুল হালিদ সেলিম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিপির সমন্বয়ক ডা. রূপালী শিশির বানু।
মূল আলোচনায় ডা: রূপালী শিশির বানু জানান, গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ীÑ বাংলাদেশে মোট দুই লাখ ৯২ হাজার ৯৪২ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতি লাখে ২২১ জন নতুন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে এবং প্রতি লাখে ২৪ জন মৃত্যুবরণ করে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশের মধ্যে যক্ষ্মারোগী সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে আশাব্যঞ্জক হচ্ছে, যক্ষ্মারোগী নিয়মিত ও নির্দিষ্ট মেয়াদে ওষুধ সেবন করলে চিকিৎসার সাফল্যের হার প্রায় ৯৬ শতাংশ। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এটাই এই সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
অধ্যাপক ডা: সামিউল ইসলাম বলেন, যক্ষ্মা শনাক্তকরণে জিন এক্সপার্ট মেশিনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে এ-সংক্রান্ত সেবা আরো জোরদার হবে। তিনি বলেন, যক্ষ্মা শনাক্তকরণই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। শনাক্তকরণের হার বাড়লেই চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ৯৬ শতাংশ সাফল্য এসেছে, তা অব্যাহত রাখা যাবে। ড. মো: আকরামুল ইসলাম বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটি বেশ আশাব্যঞ্জক। তবে এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা বাড়ানো।


আরো সংবাদ



premium cement
ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত বগুড়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে খুন জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

সকল