২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাতির সঙ্কটে উন্নয়নে অর্জনে একটিই নাম শেখ হাসিনা : তথ্যমন্ত্রী

-

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন একটি সংগ্রামী জীবনের উপাখ্যান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। সেদিন লাখ মানুষের সমাবেশে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি মা-বাবা-ভাই-ভাবীসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে তাদেরকে খুঁজে পেয়েছেন। এই প্রায় ৪০ বছরের পথ চলায় জননেত্রী বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকেছেন। জাতির সঙ্কটে, সংগ্রামে, উন্নয়নে ও অর্জনে দেশের মানুষের পাশে ও নেতৃত্বে একটিই নাম বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা : বিশ্ব নেতৃত্বে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক সমন্বয়ক সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের শেকলবন্দী গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে, মার্শাল ডেমোক্র্যাসি থেকে আমরা পূর্ণ গণতন্ত্র পেয়েছি, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার জাদুকরী নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার পর্ষদে নারীর জন্য ৩৩ শতাংশ আসন নিশ্চিত করেছিলেন। শেখ হাসিনার কারণে স্থানীয় সরকার পরিষদ নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। এখন শুধু এসপি নয়, মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, সচিব থেকে শুরু করে এমন কোনো পদ নেই যেটি নারী অলঙ্কৃত করেনি।
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেটে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর মির্জা ফখরুল সাহেব যেভাবে ঢালাও কথা বলেছেন, সেটিকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা করেছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অনুরোধ জানাব একটু ২০০১ সালের দিকে ফিরে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার অপরাধে যেভাবে শেফালীকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল, ৮ বছরের শিশুকে যেভাবে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল, সেটি মির্জা ফখরুল সাহেবের নিশ্চয় মনে আছে। তিশা, ফাহিমা, মহিমা, অজুফা, কবিরানী, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মাহফুজাসহ শত শত নারী সেদিন গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং তাদেরকে বাহবা দেয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, আমাদের দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যদি এ ধরনের অপরাধ করে তাদেরকে সাথে সাথে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতেও করা হবে, এখনো কোনো ঘটনা ঘটলে সিলেটের ঘটনাসহ সর্বক্ষেত্রেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দু’টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে দু’টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন তথ্যমন্ত্রী। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত সম্পাদিত প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন স্মারক গ্রন্থ ‘পিতা থেকে কন্যা : স্বাধীনতা থেকে অর্থনৈতিক মুক্তি’ এবং কবি আসলাম সানী সম্পাদিত ‘নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা, গর্বিত বাংলাদেশ’ বই দু’টির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement