১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ভট : রিজভী

-

পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সাথে বিএনপির দহরম-মহরম বহু পুরনোÑ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে তথ্যমন্ত্রীর উদ্ভট বক্তব্য জনগণের মনে ঘোরতর সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। মনে হয়, তার মন্ত্রিত্ব এখন টালমাটাল অবস্থায় আছে। আওয়ামী মন্ত্রীদের বিচারবুদ্ধি নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা কথা প্রচলিত আছে।
রিজভী বলেন, তারা যখনই খুব বিচলিত ও বেকদায় পড়ে তখনই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কার করে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী মন্ত্রীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের মুরব্বি পরিবর্তন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। সব কূল হারিয়ে সরকার মনে হয় স্বস্তিতে নেই। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা এড়াতেই তথ্যমন্ত্রী বিদেশে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। তথ্যমন্ত্রী হাওয়া থেকে পাওয়া তথ্য দিতেই পারঙ্গম।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, অধ্যাপক সাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, হারুনুর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, কৃষক দলের শাহজাহান মিয়া সম্রাট, স্বেচ্ছাসেবক দলের এ কে এম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি অলি-গলি খুঁজছেÑ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যেরও কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিএনপি অলি-গলি খুঁজবে কেন? বিএনপি তো অবৈধ সরকার পতনের জন্য প্রশস্ত রাজপথেই আন্দোলন করছে। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে ওবায়দুর কাদের সাহেবরা কানা গলি দিয়ে কখনো বিনা ভোটে, কখনো নিশিরাতের ভোটে ক্ষমতায় টিকে আছেন। অলি-গলি ওবায়দুল কাদের সাহেবদেরকেই অবলম্বন করতে হয়, বিএনপির নয়। বিএনপির শক্তি জনগণ, রাজপথই বিএনপির শক্তি।
‘পাবনা-৪ উপনির্বাচনে এজেন্ট প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি’ : পাবনা-৪ আসনে উপনির্বাচনে বিএনপির এজেন্ট প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপির কোনো এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
রিজভী আরো অভিযোগ করে বলেন, ভোটের দুই দিন আগ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা শুরু হয়। আটঘরিয়া থানায় তিনটি এবং ঈশ্বরদী থানায় তিনটি গায়েবি মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশি অভিযানের নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। পুরো এলাকায় চলছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের জুলুম নির্যাতন। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ঈশ্বরদী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক কল্লোল, পাকশী ইউনিয়নের বিপ্লব, সলিমপুর ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুল ও আবদুল হাইসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মীকে। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিও জানান তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement