১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মেঘনা ঘাট

জাহাজের তেল চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি যেখানে নিত্যদিনের অপরাধ

-

দেশের অন্যতম নদী মেঘনা ঘাট যেন অপরাধীদের ঘাঁটি। এখানে রাত যত গভীর হয়, তত বেড়ে যায় অপরাধীদের তৎপরতা। সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী চক্র মেতে ওঠে নদীতে নোঙর করা তেলের শিপে ডাকাতি, তেল চুরি ও লুট, পাথর-বালু বোঝাই লাইটারে চলে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে।
জানা গেছে, মেঘনা ব্রিজ-সংলগ্ন মেঘনা ঘাটকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি চলে। তেলের শিপ, পাথর-বালুবাহী লাইটার, লঞ্চ পারাপার, নদীর জেলেসহ বিভিন্ন ব্যবসায়কে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে একই অপরাধী চক্র। যারা দিনে ঘাটে চাঁদাবাজি আর রাতে চুরি, ডাকাতিতে মেতে ওঠে। স্থানীয় পুলিশ, নৌ-পুলিশ এই চক্রের কাছে অসহায়।
অভিযোগ রয়েছে, রিটু প্রধানের নেতৃত্বে ঘাটে একটি অপরাধী চক্র গড়ে উঠেছে। ঘাটে প্রতিদিন পাথর-বালুসহ অন্য মালামাল ওঠানামা করে থাকে। ইজারার নামে রিটু তার বাহিনী দিয়ে ঘাটে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করছে। অভিযোগ রয়েছে, এক দিকে রিটুবাহিনী লঞ্চ, কার্গো, পণ্যবাহী জাহাজ থেকে ইজারার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। অন্য দিকে একই বাহিনী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে চলে হয়রানি ও নির্যাতন। অভিযোগ রয়েছে যারা চাহিদা মতো চাঁদা না দেয়, তাদের রাতের আঁধারে ধরে নিয়ে নৌকায় নদীর মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নির্যাতনসহ গলা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। ফলে নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ীরা নীরবে চাঁদা দিয়ে যাচ্ছেন। একইভাবে অপরাধী চক্র তেলের শিপে ডাকাতি ও তেল চুরি করছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা তেলের শিপগুলো ট্রানজিট হিসেবে সাধারণত মেঘনা ঘাটের নদীতে নোঙর করে থাকে। এ জন্য শিপ কর্তৃপক্ষকে ঘাট ইজারাদারদের নির্ধারিত টাকার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া রাতের আঁধারে নোঙর করে থাকা তেলের শিপে চলে ডাকাতি ও তেল লুটের ঘটনা। শিপগুলো থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার তেল চোরাইপথে চলে যায়। কোনো শিপ মেঘনা নদীতে নোঙর করার সাথে সাথে প্রথমে তাদের বিপুল অঙ্কের চাঁদা গুনতে হয়। আবার চাঁদা না দিলে রাতের আঁধারে শিপে চলে ডাকাতি। দুর্বৃত্তরা রাতে ট্রলার বা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় এসে শিপে উঠে লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও তেল লুট করে। একটু বাধা দিলে বা টাকা দিতে দেরি হলে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে শিপের শ্রমিক-কর্মচারীদের।
একইভাবে শিপ থেকে ঘটছে তেল চুরির ঘটনা। জানা গেছে, একটি চক্র প্রতিদিন রাতে শিপ থেকে লাখ লাখ টাকার তেল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। পরে সেগুলো চোরাইপথে বিক্রি করছে। এই তেল চুরির ঘটনায় ঘাটে ইজারাদার রিটুবাহিনীর সদস্যরা জড়িত। তারা শিপের কর্মচারীদের হাত করে বা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাধ্য করে তেল চুরি করে থাকে। সবকিছু প্রকাশ্যে চললেও ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। এমনকি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরাও মেঘনা ঘাটের অপরাধী চক্রের কাছে অসহায়। এ দিকে এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে ঘাটের ইজারাদার হিসেবে পরিচিত রিটু প্রধানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি পরে কথা বলছি বলে লাইন কেটে দেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ‘কেন্দ্র’ ইস্ফাহান : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের সেই ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ১৪ বছরেও হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি এসআই গৌতম রায়ের পবিবার

সকল