২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইউএনওর ওপর হামলার দায় স্বীকার করলেন রবিউল

-

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে রবিউল ইসলাম। গতকাল রোববার দুপুরে ইউএনও অফিসের সাবেক মালি আসামি রবিউল ইসলাম (৪২) দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের কাছে দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। এ সময় সে জানায়, ক্ষোভ থেকেই তিনি একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তিনিই একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং একাই হামলাকারী।
জানা গেছে, দিনাজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আমলী আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে তোলা হয় রবিউলকে। আদালতে তোলার ৩ ঘণ্টা পর বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন রবিউল। জবানবন্দীর পর রবিউলকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে রবিউল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী সে নিজেই। আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে। তার দেয়া তথ্যমতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবি সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপ সহ মোবাইলের লোকেশন বিষয় গুলো আলামত হিসেবে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন ও প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে রবিউল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের দোষ স্বীকার করে। গত ১২ তারিখে এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়ে ছিলেন রবিউল দায় স্বীকার করে জানিয়েছে এ ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী সে নিজে। পরে তাকে ওই দিনেই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। আদালতের বিচারক তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই দিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। ওই দিনই তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ, পরে তাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

 


আরো সংবাদ



premium cement