২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় লুটে পড়ে ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত মজনু

-

সাজার ভয়ে আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় লুটিয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণে অভিযুক্ত মজনু। গতকাল রোববার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ দিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় হওয়া মামলায় প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ সময় ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনা?লের বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে জবানবন্দী দেন মামলার বাদি ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় কান্না শুরু করে মাটিতে লুটে পড়ে অভিযুক্ত মজনু। ‘মায়ের কাছে যেতে চাই’ বলে কাঁদতে কাঁদতে শুয়ে পড়ে সে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ধরে আদালত থেকে নিয়ে যায়। মজনু বলে, ‘আমি যাব না। আমি মায়ের কাছে যাব।’
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, দ থেকে বাঁচার জন্যই এমন অভিনয় করছে মজনু।
এর আগে ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালত অভিযোগ গঠন করেন। গত ১৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য গতকাল রোববার দিন ধার্য করেন। গত ১৬ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক মজনুকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগপত্রে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিক্যালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
৬ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্ত ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলাটি তালিকাভুক্ত করে থানা কর্তৃপক্ষ। পরে ৮ জানুয়ারি অভিযুক্ত ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মজনুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এরপর ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়ে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেন মজনু। গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসা?মি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। ওই দিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২১ সাক্ষী রয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ

সকল