২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

হেলথ টিপস : করোনাকালে সচেতনতা

-

মাস্ক পরাটাই এখন ভদ্রতা। প্রীতি-সম্ভাষণের জন্য ‘হ্যান্ড শেক’ নয়। বেছে নিন অন্য কোনো পন্থা। স্বাভাবিক জীবনযাপনের রীতি-নীতিগুলো মাত্র কয়েক মাসেই তছনছ করে দিয়েছে করোনাভাইরাস। মানুষ সামাজিক জীব। জীবনের প্রতিস্তরে এই বাক্যটাকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা মানুষ আজ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য প্রাণ ভয়ে। নতুন এই পরিবর্তনগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে আজো কষ্ট হয়। আর যারা মানিয়ে নিয়েছেন তারাও প্রতিদিন করোনাভাইরাস মহামারী শেষ হয়েছে এই খবর শোনার জন্য মরিয়া। তবে তা এখনো হয়তো অনেক দূরে। তাই নতুন নিয়মগুলোকেই মানতে হবে। আর এসব নিয়মে সীমাবদ্ধ থেকেই সবার সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করতে হবে, বজায় রাখতে হবে সদাচরণ, ভদ্রতা ও সহমর্মিতা। ‘নিউ নরমাল’ জীবনের আচরণবিধি কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানান হলো ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন থেকে।
ঘরের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে : মাস্ক থাকতে হবে এবং তা পকেটে নয়, মুখে থাকতে হবে। আজকাল ঘরের বাইরে বের হলে পুরো সময়টা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না তাই মাস্কই আপনার প্রধান সুরক্ষা। ভদ্রতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মাস্ক পরা মানেই হলো আপনি নিজের এবং আশপাশের মানুষের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন অন্তত নিজের দিক থেকে।
সাক্ষাতে সংবর্ধনা : কারো সাথে দেখা হলে কিংবা বিদায় নেয়া সময় করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়া অভ্যাস থেকে অনেকেই বেরিয়ে এসেছেন এতদিনে। মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে, করোনাভাইরাসের কারণে কি হাত মেলানোর রীতি হারিয়ে যাবে? হাত মেলাতে না পারলেও তার অনেক বিকল্পই মানুষ আবিষ্কার করেছে। কনুই মেলানো, পায়ে পা মেলানো, চোখের ভাষায় সম্ভাষণ, হালকা মাথা নুইয়ে ‘নড’ ইত্যাদিসহ আরো অনেক কিছুই মানুষ অনুশীলন করছে। আর হাত মেলানো হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। মহামারী গেলে শুধু হাত মেলানো নয়; হয়তো আলিঙ্গনই প্রথম পছন্দ হয়ে দাঁড়াবে।
অন্যের পোষা প্রাণীকে আদর : অন্যের পোষ্যকে আদর করতে শক্ত বারণ হয়তো নেই। যেহেতু পশু পাখির কোভিড-১৯’য়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নেই। তাই করোনাভাইরাসবাহী পোষ্যকে স্পর্শ করতেই পারেন। তবে সেই পোষা প্রাণীর শরীর থেকে ভাইরাস ছড়ানো মোটেই অসম্ভব নয়। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে নিজের কিংবা অপরের পোষা প্রাণী ধরলে পরক্ষণেই হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে।ইন্টারনেট


আরো সংবাদ



premium cement