২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বাস্থ্যের ১১ কর্মকর্তা কর্মচারীর অঢেল সম্পদ

-

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্ত্রীদের অঢেল সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ তালিকায় কর্মকর্তাদের চেয়ে কর্মচারীরা এগিয়ে রয়েছেন। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তাদের অবৈধ সম্পদের তথ্য। এসব কারণে তাদের সম্পদের হিসাব নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। জানা গেছে, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে স্বাস্থ্যের এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট, নিজ এলাকায় বাড়ি-জমি খোঁজ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কোনো কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত গাড়িরও সন্ধান পেয়েছে দুদক।
এ ব্যাপারে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় তাদের আয়ের উৎস জানতে চেয়ে কমিশন থেকে নোটিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দুদক উপপরিচালক মো: সামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে। অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হলেনÑ উপসহকারী পরিচালক মো: সহিদুর রহমান ও ফেরদৌস রহমান। যার তদারককারী কর্মকর্তা হলেন দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম।
দুদক সূত্র জানায়, যাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যের পাঁচজন কর্মকর্তা হলেনÑ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো: মাহমুদুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই শাখার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো: মজিবুল হক মুন্সি, গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: ওবাইদুর রহমান, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো: নাজিম উদ্দিন ও বরিশাল বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর রায়হান আলী। এ ছাড়া ছয়জন কর্মচারী হলেনÑ স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই ভবনের এনএনএইচপি ও আইএমসিআই ইউনিটের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া, হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার অফিস সহকারী কামরুল হাসান, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর মো: সাইফুল ইসলাম, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ইমদাদুল হক, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেক।
সূত্র আরো জানায়, ছোট পদে চাকরি করেও বিশাল অঙ্কের সম্পদের মালিক হয়েছেন এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওই ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement