২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
উদ্ভাবন

ঘাটতি মেটাতে বারী-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষ বাড়ানোর তাগিদ

মসলা গবেষণা কেন্দ্র
-

সরকারের সঠিক পরিকল্পনা এবং সদিচ্ছা থাকলে মসলা গবেষণা কেন্দ্র্র উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন বারী-৫ জাতের পেঁয়াজ দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা। মসলা গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন বিএনপি সরকার দেশে মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর এলাকায় ৭০ একর জমির ওপর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে মসলা গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। এ কেন্দ্রের অধীনে লালমনিরহাট ও ফরিদপুরে দু’টি উপকেন্দ্র রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটিই উচ্চফলনশীল গ্রীষ্মকালীন বারী-৫ (বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট-৫) জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছে। সাধারণ দেশীয় জাতের শীতকালীন পেঁয়াজের চেয়ে এ জাতের ফলন বেশি। চারা রোপণের পর ৬০-৭০ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়। সংস্থাটির শিবগঞ্জের রায়নগরস্থ কেন্দ্রে দেখা গেছে, অন্যান্য মসলার চারার পাশাপাশি বারি-৫ পেঁয়াজের বীজতলা রক্ষণাবেক্ষণ চলছে। বাড়ন্ত চারা পলিথিন শেড দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। আলাদা একটি ছাউনিতে বীজ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য (প্রধান) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হামিম রেজা জানান, বর্তমানে দেশে বছরে ৩০ লাখ মেট্রিক টনের উপরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেখানে উৎপাদন হচ্ছে ২৩ লাখ মেট্রিক টন। ফলে ঘাটতি পূরণ করতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয় বছরে ৭ লাখ টন। তবে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব শীতকালীন পেঁয়াজের পাশাপাশি উচ্চ উৎপাদনশীল গ্রীষ্মকালীন বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ বেশি বেশি চাষের মাধ্যমে। তিনি বলেন, সহনীয়জাতের দেশী শীতকালীন পেঁয়াজ যেখানে প্রতি হেক্টরে ১০-১২ টন উৎপাদন হয় সেখানে বারি-৫ জাত হেক্টর প্রতি ১৮-২২ টন উৎপাদন হয়ে থাকে। তিনি বলেন, জমিতে লাগানোসহ সাথী ফসল আদা, হলুদ, আখ, মরিচের সাথেও বারি-৫ পেঁয়াজ চাষ করা যায়।
তিনি আরো জানান, গত দুই বছর ধরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের চাহিদা বেড়েছে। সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ অনেকেই গ্রীষ্মকালীন বারি-৫ জাতের বীজ নিয়ে চাষ করছেন। দেশের এটাই সবচেয়ে বেশি ফলনশীল পেঁয়াজ। বারি-৫ পেঁয়াজ শীত ও গ্রীষ্মকাল দুই মওসুমেই উৎপাদন করা যায়। শীতকালে প্রতি হেক্টরে ২০-২৫ টন উৎপাদন হলেও গ্রীষ্মকালে ৩০-৩৫ টন উৎপাদন হয়।
বারি-৫ পেঁয়াজের পাশাপাশি শীতকালীন বারি-৪ ও ৬ চাষে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সরকার সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব পেঁয়াজ দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। এর ফলে দাম যেমন সহনীয় হবে তেমনি আমদানি করতে হবে না।
তিনি আরো বলেন, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বারি-৫ পেঁয়াজের বীজ বপন করা হয়। নভেম্বরে চারা লাগানো হয়। ওই সময় আগাম সবজি, আখসহ অন্য ফসল লাগানো হয়। তবে ওই সব ফসলের প্রতি প্রভাব পড়বে না। ওই ফসলের চেয়ে বেশি লাভজনক হবে পেয়াজ। ড. হামিম জানান, যদি ১০ লাখ টন ঘাটতি থাকে তাহলে প্রতি হেক্টরে গড়ে ২০ টন উৎপাদন ধরলে ৫০ লাখ হেক্টর জমিকে পেয়াজ চাষের আওতায় আনতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল