অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করছে : রিজভী

সরকার অন্য কোনো দেশের চামড়া শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে নিজ দেশের চামড়া শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রামে তার নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, যে সরকার দিনের বেলা ভোট করতে ভয় পায়, রাতের বেলা ভোট করে সে সরকার মানুষের কল্যাণে কাজ করবে না সেটাই স্বাভাবিক। এবার আমরা দেখেছি কোরবানির চামড়া নিয়ে তেলেসমাতি। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি না হওয়ায় আবারো প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার গরিব অসহায় এতিমদের পিষে মারছে। সরকার ট্যানারি মালিকদের কোনো রকম সহযোগিতা করেনি। ঋণ না দেয়ায় ট্যানারি মালিকরা চামড়া ক্রয় করেনি। সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করছে। এর উদ্দেশ্য হলো অন্য কোনো দেশকে চামড়া শিল্প বিকাশের জন্য দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে। মানুষ চামড়া বিক্রি করতে না পেরে নদীতে, রাস্তায়, বা মাটির নিচে পুঁতে রাখছে। প্রতি বছর কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করে গরিব এতিমদের খরচ জোগানো হতো। এবার তা হয়নি। গরিব অসহায়দের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের হক আদায় করা হয়নি। সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণেই চামড়া শিল্প ধ্বংস হচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়। তাদের ভুল নীতির কারণে একের পর এক গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বৈদেশিক ঋণ কমে যাচ্ছে। করোনার কারণে রেমিট্যান্স কমেছে। দেশের স্বার্থে সরকারের যেসব পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল তা নেয়া হয়নি। কিছু মেগা প্রজেক্ট নামে দুর্নীতির মহোৎসব করছে নিজেদের লোকদের নিয়ে। এতে মানুষ দিন দিন কর্মহীন হচ্ছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে না। কোটি কোটি শিক্ষিত বেকার লোক রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর কারণ এই সরকার গণবিরোধী সরকার।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, করোনায় সরকার লকডাউন করেনি। বলেছে ছুটি। করোনার মধ্যে সরকার অফিস-আদালত খুলে দিয়েছে। সবাইকে অফিসে আসতে বাধ্য করছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে ঢাকাসহ সারা দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষকে সচেতন করে করোনা মোকাবেলা না করে অফিস-আদালত খুলে দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। দেশের স্বাভাবিক অবস্থা বোঝানোর জন্য করোনা আক্রান্ত হচ্ছে না বলে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আর তলে তলে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়াতে সহায়তা করছে। অফিস-আদালত খুলে সবাইকে কাজে জোগদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য নয়, নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য। কোটি কোটি মানুষকে বিনা চিকিৎসায় ঠেলে দিয়ে ভয়ঙ্কর মরণযজ্ঞ তৈরি করেছে।