১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৫০০ মে. নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনের সাথে মিলে নতুন কোম্পানি

-

দেশের বিভিন্ন স্থানে নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক মোট ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তুলতে চীনের সাথে জোট বেঁধেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনা কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) আধাআধি মালিকানায় ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (রিনিউয়েবল)’ নামে একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনের লক্ষ্যে চুক্তি (জেভিএ) করেছে।
মঙ্গলবার এলডব্লিউপিজিসিএলের সভাকক্ষে এ বিষয়ে দুই কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। বিডিনিউজ।
এনডব্লিউপিজিসিএল ও সিএমসির যৌথ মালিকানায় ২০১৪ সালে গঠিত ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড’ কয়লা ও বায়ুভিত্তিক প্রায় ২৭০০ মেগাওয়াটা ক্ষমতার একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ করছে। এখন কেবল নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে নতুন এই কোম্পানি গঠনের চুক্তি হলো। নতুন এই কোম্পানি সৌর ও বায়ুসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তুলবে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে পিডিবির চেয়ারম্যান মো: বেলায়েত হোসেন, এনডব্লিওপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম এবং সিএমসি চেয়ারম্যান রাউন গুয়াংবক্তব্য দেন।
বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের বেশির ভাগই আসে গ্যাস ও তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে। দেশের ১৩৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা (ক্যাপটিভ বাদে) ২০ হাজার ৩৮৩ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৬৩৮ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সরকারের মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালে দেশের উৎপাদনক্ষমতা ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে। জ্বালানি বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করে সেখানে বলা হয়েছে, এই বিদ্যুতের অন্তত ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে। অকৃষি জমির অপ্রতুলতার জন্য সৌর শক্তি ব্যবহার করে বড় আকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপন করা যাচ্ছে না। ছাদ সৌর বিদ্যুৎ এবং ভাসমান সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বর্জ্য ও বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগও এগিয়ে চলছে।’ বর্তমানে ২৩টি প্রকল্পের আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ১ হাজার ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য এনডব্লিউপিজিসিএল ও সিএমসির মধ্যে ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। গত ৮ জুন এই জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পায়।
নতুন এই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা। আর ১৬ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন নিয়ে এ কোম্পানি যাত্রা শুরু করবে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে গঠিত বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি পটুয়াখালীর পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছে। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও শেষের দিকে। পায়রাতেই ২০২০ সালের মধ্যে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরো দু’টি ইউনিট নির্মাণ করবে এ কোম্পানি। আর নতুন কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (রিনিউয়েবল) যেসব স্থানে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে তার চারটির বিষয়ে প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে পাবনায় ৬০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে ২০৫ একর অকৃষি খাসজমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্প এলাকা ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে উৎপাদনে নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের সম্ভ্যবতা যাচাই শেষ হয়েছে, ২১৪ একর জমি ইজারা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রকল্প এলাকার জমি বা জীব-বৈচিত্র্যের যাতে ক্ষতি না হয়, সেজন্য পানির ওপর পাইলের মাধ্যমে প্যানেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০২২ সালের জুনে এ প্রকল্প থেকে উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যমুনা ১২৫ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য পাবনার বেড়া উপজালায় ৪৪৩ একর অকৃষি খাস জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর। পায়রায় ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার উইন্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে আরো ১৬৫ মেগাওয়াট সৌর ও বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সকল