২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার বন্ধের দাবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের আহ্বান জামায়াতের

-

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশে বিপুলসংখ্যক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে কিন্ডারগার্টেন, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন ৯ লক্ষাধিক লোক। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মূলত টিউশন ফি ও ছাত্রদের বেতন আদায়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। করোনার কারণে তাদের আর্থিক আয়ের উৎস পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাড়ি ভাড়া, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন দিতে না পারায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর্থিক দুরবস্থা ও ভর্তুকি প্রদানের কারণে অনেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেকে শিক্ষকতার পেশাও বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন। আয় না থাকায় ঢাকা শহর ছেড়ে অনেকে পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন। এক কথায় বলা যায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা মনে করি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা হলেন জাতির বিবেক ও মানুষ গড়ার কারিগর। আমাদের সন্তানদের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে রয়েছে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন খাতে আর্থিক প্রণোদনার ঘোষণা দেয়া হলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সহযোগিতার কথা ঘোষণা করা হয়নি। তাই দেশের স্বার্থে বেসরকারি এ বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার বন্ধের আহবান : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ এবং এই আইনের মাধ্যমে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
গতকাল অপর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আইন তৈরি করা হয় মানুষের কল্যাণে। সংবিধান হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন। বাংলাদেশের সংবিধানে মানুষের মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের প্রয়োগ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এই আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, স্বাধীন মতপ্রকাশ ও কণ্ঠরোধ করার জন্যই এই আইনটি তৈরি করা হয়েছে। সাংবাদিক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমনকি ১৫ বছরের বালকও এই আইনের অপব্যবহার থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণকারী ও নিপীড়নমূলক এই আইনের অপব্যবহার বন্ধ এবং এই আইনে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
শোক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্য (রুকন) পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পূর্বটেংরীস্থ মাহতাব কলোনীর বাসিন্দা হোমিও ডা. ফজলুল হক (৬০) দীর্ঘ দিন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত বুধবার ইন্তিকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। গতকাল সকাল ১০টায় বরই চারা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে নামাজে জানাযা শেষে তাকে সেখানেই দাফন করা হয়েছে।
ডা. ফজলুল হকের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। শোকবাণীতে তিনি বলেন, ডা. ফজলুল হক ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ইসলামের প্রচার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার সকল খেদমত কবুল করে তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement