২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের প্রভাবে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৩৬৫ শতাংশ

-

লেনদেন খরার মধ্যেও আগের সপ্তাহটি উত্থানে পার করেছিল দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের বদৌলতে লেনদেন খরাও ছিল না। ফলে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজার আরো একটি ভালো সপ্তাহ পার করেছে। এ সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। ভালো কেটেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও। গত সপ্তাহে ডিএসই ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার কিনে নেয় ইউনিলিভার। এতে সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেনে বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে। যার প্রভাবে এক সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৩৬৫ শতাংশের ওপরে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন ছিল ৮৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয় ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭৭৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বা ১৩৬৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৩৩৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২৮৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩ হাজার ৫০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
লেনদেনের উত্থানের মূল কারণ, গত ২৮ জুন ডিএসইর ব্লক মার্কেটে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের এক কোটি ৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৪টি শেয়ার লেনদেন হয়। যার মূল্য ২ হাজার ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৪টি শেয়ার ২ হাজার ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা করে ইউনিলিভার তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিনে নেয়। যার ফলে লেনদেনে উল্লম্ফন ঘটে।
লেনদেনে বড় উত্থানের সপ্তাহে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সাথে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণের বেশি। ফলে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
অবশ্য গত কয়েক সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত থাকে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮টির। আর ২৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৪১ কোটি টাকা।
এ দিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। বাকি দু’টি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৬১ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। আর ডিএসই-৩০ বেড়েছে ৯ দশমিক ১৮ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট।
আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহে লেনদেনের প্রায় পুরোটা ছিল ‘এ’ গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির দখলে। মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ ছাড়া ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘বি’ গ্রুপের অবদান দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ৩৭ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছেÑ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ওয়াটা কেমিক্যাল, লিন্ডে বিডি, একমি এবং সিটি ব্যাংক।


আরো সংবাদ



premium cement