১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ভূমি ব্যবস্থাপনায় ‘ই- মিউটেশন’

ইউএন পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়

-

জাতিসঙ্ঘের মর্যাদাপূর্ণ ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ই-মিউটেশন কার্যক্রমের জন্য ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে দেশব্যাপী ই-মিউটেশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয় এ পুরস্কার পেয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি কর্তৃক জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে প্রদত্ত এক চিঠির বরাত দিয়ে গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে লেখা চিঠিতে জাতিসঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লু ঝেনমিন উল্লেখ করেন, ‘জনস্বার্থে সেবার উন্নয়নে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে মন্ত্রণালয়টি (ভূমি) এবং আমি বিশ্বাস করি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ আপনার দেশে জনপ্রশাসনের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে।
প্রকৃতপক্ষে, এই কাজ (ই-নামজারি) জনসেবায় ব্রতী হতে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ হিসেবে কাজ করবে।’
প্রতি বছর ২৩ জুন যথাযোগ্য আনুষ্ঠানিকতার সাথে জাতিসঙ্ঘ দিবসটি উদযাপন করে এবং এ সময় বিশ্বজুড়ে সরকারি খাতে গৃহীত সর্বোত্তম উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে জাতিসঙ্ঘ এ বছর পাবলিক সার্ভিস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে। তবে জাতিসঙ্ঘ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নমুখী প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে এই অসামান্য অর্জন ও পুরস্কার বিজয়ের বিষয়টি তুলে ধরার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ভূমিমন্ত্রীর উদ্যোগে গত ১ জুলাই ২০১৯ হতে সারা দেশে একযোগে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয় (তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে), বর্তমানে ৪৮৫টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিসে এবং ৩৬১৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ই-নামজারি বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০১৯-২০ সালের মে মাস পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭০টি আবেদন পাওয়া যায় এবং ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৮টি আবেদন অনলাইনে নিষ্পত্তি হয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। প্রান্তিক অঞ্চলে অনেক সময় সেবা গ্রহীতাগণ ভূমি অফিসে গিয়ে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করেন। ই-মিউটেশনের কারণে যা এখন তারা বাসায় বসেই করতে পারেন। ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হওয়ায় দালালদের দৌরাত্ম্য ও মাঠপর্যায়ে দুর্নীতির সুযোগ কমছে। সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং সর্বোপরি সেবা পেতে সময় কম ও আর্থিক ব্যয় কম হচ্ছে। এর ফলে নাগরিক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নাগরিকসেবা গ্রহণ করার পর সেবা প্রদানের মান নিয়ে সেবা গ্রহীতারা তাদের সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টি বিষয়ক প্রতিক্রিয়া যাতে জানাতে পারেন সেজন্য ওয়েবসাইটে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে এগুলো পরে মূল্যায়ন করে সেবার মান বৃদ্ধি করা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement