ডিএসইতে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
সূচক কমলো টানা চতুর্থ দিন- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ০৫ জুন ২০২০, ০০:০০
গত ১৩ বছরে যা দেখেননি দেশের বিনিয়োগকারীরা, তাই দেখতে হচ্ছে। কঠিন সময় পার করছে দেশের পুঁজিবাজার। ৬৬টি দিন বন্ধ থাকার পর চালু হলেও লেনদেনে খরা চলছে। আগের তিন দিনের ধারাবাহিকতায় গতকালও সূচক পতন হয়েছে। এ দিন পতন হয়েছে ১০ পয়েন্ট। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিনে গড়াল প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক পতন। তবে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো বাজারে লেনদেন নেই মোটেই। গতকাল সূচকের সাথে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল ডিসইএতে ৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট বেড়েছে।
করোনা মহামারীর বিস্তার রোধে নেয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার লেনদেন শুরু হয় শেয়ারবাজারে। ২৫ মার্চ শেষ লেনদেন হয়। লেনদেন চালু হয়ে প্রথম দিন ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৫২ পয়েন্ট। এরপর চার কার্যদিবসই সূচক কমেছে। একই সাথে গতি খুবই কম লেনদেনের পরিমাণে। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
লেনদেন খরার বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে কিন্তু কমেছে তার থেকে বেশি। ফলে সূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল শেয়ারবাজার।
এ দিন লেনদেনের প্রথম দিকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়, যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ ৩ পয়েন্ট কমে ৯১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ১১টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট দাম বৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির। আর ২৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অঙ্কে বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে এর পরের স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যাল। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑ লিন্ডা বিডি, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যাল, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, একমি ল্যাবরেটরিজ এবং রেকিট বেনকিজার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টির।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা