২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পরিবহন সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সরকার : রিজভী

-

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, সারা জাতির জীবন ও মৃত্যু নিয়ে সরকার ট্রায়াল কেস করছে। করোনাভাইরাসের আঘাতে কত মৃত্যু ও আক্রান্ত হবে সেটি সরেজমিন দেখার জন্য গণপরিবহনসহ অফিস-আদালত খুলে দেয়া হয়েছে। একটি সরকার ম্যান্ডেটবিহীন হলেই কেবল এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার গণপরিবহনের সিন্ডিকেটের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। সরকারের শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর কথা থাকলেও সেটি কোনোক্রমেই বাস্তবায়িত হয়নি। দেখা যাচ্ছে বাস, লঞ্চ, অটোরিকশাসহ সব ধরনের গণপরিবহনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। দূরপাল্লার বাসগুলোতে ঠেলাঠেলি করে মানুষ ভেতরে ঢুকছে। কোনো কোনো বাসে ছাদের উপরেও যাত্রী তোলা হয়েছে। লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকা দূরে থাক, সেখানে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। আসলে সরকার সিন্ডিকেটের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে।
লিখিত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশে করোনায় শনাক্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠার হার বিশে^র মধ্যে সবচেয়ে নি¤েœ। যেখানে ইরান, ইটালি ও স্পেনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এরমধ্যে জার্মানিতে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯০ শতাংশ এবং ভারত ও পাকিস্তানে বাংলাদেশের দ্বিগুণ। বাংলাদেশে সুস্থ হয়ে ওঠার হার সর্বনি¤œ হওয়ার পরও তা বিবেচনায় না নিয়ে সব কিছু খুলে দেয়া হয়েছে কার স্বার্থে? সারা দেশকে কি সরকার গোরস্থান বানাতে চায়?
তিনি বলেন, সরকার যা কিছু করছে, তা নিজেদের সিন্ডিকেটের স্বার্থকে রক্ষা করতে। তারা জনস্বার্থে সফল নয়, কিন্তু দুষ্কর্মের সাথী হতে খুবই দক্ষ। আসলে সরকার দুরযোগ, মহামারী, দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে কোনো কোনো বাসে অর্ধেক যাত্রী তোলা হলেও ঢাকার বাইরে গিয়ে বেশি যাত্রী তোলা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাসে ৬০ শতাংশ ভাড়া নেয়ার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ৮০ শতাংশ অথবা এরও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এগুলো সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতারই নিদর্শন। তারা শুধু বিরোধী দল ও মতকে নিষ্পেষণ ও নির্যাতনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। জনগণের জীবনের কথা চিন্তা না করে সরকার ‘শুধু জীবিকার অজুহাতে সবকিছু খুলে দিয়ে অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে’ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
গত সপ্তাহে এক্সিম ব্যাংকের এমডি-ডিএমডিকে গুলি করার হুমকি ও নির্যাতন করার মামলায় অভিযুক্ত সিকদার গ্রুপের দুই ভাইকে চার্টার্ড বিমানে বিদেশে পাঠানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যাংক লুটপাটকারীদের পালাতে সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এটি সম্পূর্ণরূপে স্টেট টেররিজম। দুইজন দুরন্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। অতীতেও এই সরকার ব্যাংক লুটপাটকারীদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে নিরাপদ করেছিল এই ঘটনা তার আরেকটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ।


আরো সংবাদ



premium cement