২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ভালো না হলে মৃত্যুহার ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বেশি হতো : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন : পিআইডি -

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হত, তাহলে মৃত্যুহার ভারত-পাকিস্তনের মতো কিংবা তার চেয়েও বেশি হতো। প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও সংশ্লিষ্ট সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা মৃত্যুহার কমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। ফলে বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, করোনা নিয়ে মিথ্যাচার না করে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান। আর আমাদের দুয়ার সব সময় খোলা আছে, প্রয়োজনে আমাদের সাথে আপনারা একযোগে জনগণকে সহায়তা করার জন্য কাজ করতে পারেন।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিকে আশপাশের দেশসহ বিশ্বের দিকে তাকানোর অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের হার আমাদের চেয়ে বেশি। ভারতে সংক্রমণ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। আর বেলজিয়ামে সংক্রমিতদের মৃত্যুহার ১৫ শতাংশ, ব্রিটেনে ১৪, যুক্তরাষ্ট্রে ৬, ভারতে ৩ দশমিক ২, পাকিস্তানে ২ এর বেশি আর আমাদের দেশে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। চীনের উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে তখন যারাই এসেছেন, সবাইকে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। দেশে আগত সকল পণ্যবাহী জাহাজকে বহির্নোঙরে রেখে সবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পরই ভিড়তে দেয়া হয়েছে, স্থলবন্দরের জন্যও সে ব্যবস্থা ছিল। এরপরও ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হয়, যেমন বিশ্বের অন্যান্য দেশও নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল কিন্তু কোনো দেশই করোনা থেকে মুক্ত থাকেনি। বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই এখনো আশপাশের দেশ ও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেক কম কিন্তু রুহুল কবির রিজভী সাহেবসহ বিএনপিনেতারা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, ‘তাতে মনে হয়, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত সব শঙ্কা-আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করেছে। করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ইতিহাসের বৃহত্তম ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন। সরকারের ব্যবস্থাপনায় ৬ কোটি মানুষ ত্রাণ ও আরো এক কোটি মানুষ নানা সহায়তা পেয়েছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে, যা অভাবনীয় এবং অন্য কোনো রাজনৈতিক দল তা করেনি। যে কারণে গত দু’মাসের বেশি প্রায় সবকাজ বন্ধ থাকার পরও পরম সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ আর আমাদের চেষ্টায় একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।
বিএনপির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া দুই দফায় ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আরো একবার বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে একমাসের বেশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। এটি সত্যিই রহস্যজনক যে, জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার তিনি করেননি। সে কারণে জনগণের মনেও এটি প্রশ্ন যে, জিয়া হত্যার বিচার করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে, এজন্যই কি তিনি বিচার করেননি!
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement