১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টাংগুয়ার হাওরে উজাড় হচ্ছে নলখাগড়া, হিজলকরছ গাছ

টাংগুয়ার হাওরে উজাড় হচ্ছে নলখাগড়া, হিজলকরছ গাছ -

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার রামসার সাইট, মাদার ফিশারিজ খ্যাত মৎস্য ও পাখিদের প্রজননে অভয়ারণ্য,সারি সারি হিজলকরছ শোভিত টাংগুয়ার হাওরে অবৈধভাবে উজাড় হচ্ছে নলখাগড়া, হিজলকরছ গাছসহ হাওরে পাখি, মাছ ও জলজ প্রাণী। এসব রায় টাংগুয়ার হাওরে প্রায় চারটি আনসার ক্যাম্প (মুজরাই, গোলাবাড়ি, রামসিংহপুর, রংসী) থাকলেও বিশাল অভয়াশ্রমের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করছেন না দায়িত্বশীলরা বলে অভিযোগ উঠেছে।
টাংগুয়ার হাওর তদারকির জন্য বরাবরই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকলেও গত চার মাস যাবৎ হাওরে ম্যাজিস্ট্রেটের পদশূন্য। ফলে হাওর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বশীল না থাকা ও আনসার বাহিনীর দায়িত্বহীনতার কারণে এক দিকে হাওরে চলছে মৎস্য, পাখি, পোনামাছ নিধন। অপর দিকে বনবৃক্ষ উজারকরণের মতো ভয়াবহ নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, টাংগুয়ার হাওরের প্রকৃতিক সৌন্দর্য এক সময় লাখো মানুষকে আকৃষ্ট করলেও এখন দিন দিন মানবসৃষ্ট নৃশংসতার কবলে পড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়াসহ জীববৈচিত্র্য হারাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এ ছাড়াও হাওরে প্রতি বছর উজান থেকে আসা হাজার হাজার গরুর বিচরণ করায় হাওরে নতুন করে কোনো জলজ উদ্ভিদ জন্মাতে পারছে না। আর হাওরের পাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বনবৃক্ষখেকো কিছু অসাধু লোকজন দিনে অবাধে হাওরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মূল্যবান হিজলকরছ ও অন্যান্য বনজ বৃক্ষ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে সময়ে-অসময়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ও এখনো হাওরে পানি প্রবেশ না করার কারণে এখন হাওরের বনাঞ্চল কেটে নিয়ে নিজেরা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে এবং বিভিন্ন বাজারে বিক্রিও করছে।
সাবজল আহমেদ, নিরব হাসানসহ সচেতন হাওরবাসী জানান, বিকল্প জ্বালানি হিসেবে গোবরের চট ব্যবহার করে অন্যকোনোভাবে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে পারত কিন্তু তা না করে টাংগুয়ার হাওরে অবাধে বনাঞ্চল ধ্বংস করে দিচ্ছে হাওর পাড়ের কিছু বাসিন্দারা। হাওরের সুরক্ষার স্বার্থে প্রশাসনের সহযোগিতায় সমন্বিত পরিকল্পনা করে হাওর পাড়ের মানুষের জনজীবন ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধকল্পে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষাসহ উন্নয়নের আওতায় আনতে সুষ্ঠু পরিকল্পনা খুবই প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, টাংগুয়ার হাওরের এই বন বৃক্ষ নিধনের ব্যাপারে আমি অবগত না। যারা এই কাজটি করছে তারা অন্যায় করছে। হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
টাংগুয়ার হাওর রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বে থাকা কমিউনিস্ট গার্ডের সভাপতি মনির মিয়া জানান, টাংগুয়ার হাওর তদারকির জন্য বরাবরই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকলেও গত চার মাস যাবৎ হাওরে ম্যাজিস্ট্রেটের পদশূন্য। যার ফলে আমি হাতেগোনা চার-পাঁচ জন সদস্য নিয়ে পুরো হাওর তদারকি করতে হিমশিম খাচ্ছি। আর হাওরে বন ধ্বংসের বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে দেখছি।
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি জানান, টাংগুয়ার হাওর রায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। এরপরও যারা টাংগুয়ার হাওরের ক্ষতি করার কাজে লিপ্ত রয়েছে নলখাগড়া, গাছ কেটে নিচ্ছে এই বিষয়ে গুরুত্বসহকারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো অন্যায় করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২ বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি ‘শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করলে বিজয় অনিবার্য’ কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যেয়ে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৫ ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের সাথে সরকারের এমপি-মন্ত্রী-সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত’ ইরানের সাথে ‘উঁচু দরের জুয়া খেলছে’ ইসরাইল!

সকল