২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাজীপুরের গার্মেন্টে জোরপূর্বক শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

-

গাজীপুরের এক পোশাক কারখানায় গতকাল শুক্রবার জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর ও আইডি কার্ড জমা রেখে আংশিক বেতন পরিশোধ করে শ্রমিক ছাঁটাইকালে বিক্ষোভ করেছে ওই কারখানার শ্রমিকরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারখানার সুয়িং সেকশনের এপিএম মো: আজিজুর রহমান ও মুজিবুর রহমান জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কড্ডা নাওজোর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার এপিএস হোল্ডিং লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় সবেতনে ও উৎপাদন ভিত্তিতে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী কাজ করেন। তাদের মধ্যে সবেতনে চাকরিরত যাদের চাকরির বয়স এক বছর পূর্ণ হয়নি এমন সাড়ে তিন শতাধিক শ্রমিকের স্বাক্ষর জোরপূর্বক সাদা কাগজে নিয়ে ও আইডি কার্ড জমা রেখে মার্চ মাসের ২৬ দিনের বেতন দিয়ে শুক্রবার ছাটাইয়ের চেষ্টা চালায় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে কারখানা কর্তৃপক্ষ কিছু আইডিকার্ড ফেরত ও কিছু স্বাক্ষর নেয়া সাদা কাগজ ছিঁড়ে ফেললেও ২০০ মতো স্টাফ ও শ্রমিকের আইডিকার্ড ও স্বাক্ষরযুক্ত সাদা কাগজ ফেরত দেয়নি।
এ ব্যাপারে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা বাহাদুর আলম জানান, আমরা ২৭ মার্চ থেকে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছি। পরে ২৮ মার্চ থেকে নিয়মানুযায়ী স্টাফ-শ্রমিকদের যতটুকু বেতন কর্তন করার কথা তারচেয়ে অর্ধেক বেতন কর্তন করে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মার্চ মাসের বেতন পরিশোধের কাজ চলছে। তবে তিনি স্টাফ-শ্রমিকের আইডি কার্ড নেয়া ও ছাঁটাইয়ের কথা অস্বীকার করেছেন।
নোটিশ টাঙানোর ব্যাপারে কারখানার শ্রমিক শিল্পীসহ কয়েকজন জানান, গত বৃহস্পতিবারও লে-অফের ওই নোটিশ কারখানা গেটে ছিল না। শুক্রবার বেতন নিতে গিয়ে কারখানার প্রধান ফটকে ৩০ মার্চের স্বাক্ষরযুক্ত কারখানা বন্ধের নোটিশ টাঙানো নোটিশ দেখতে পায় শ্রমিকরা। এতে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়লে তারা বিক্ষোভ শুরু করে।
শ্রমিকরা আরো জানান, দেশের বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ এবং ছাঁটাই হলে এসব শ্রমিক-কর্মচারীদের চলার কোনো পথ থাকবে না। বকেয়া বেতনের এ টাকা দোকানের বাকি ও বাড়ি ভাড়া দিয়েই শেষ হয়ে যাবে। পরে আমরা কি খাবো।
বাসন থানার ওসি মো: রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমান দুর্দিনে যাতে স্টাফ ও শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে না পারে সেজন্য আমি শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেছি এবং স্টাফ ও শ্রমিকদের কাছ থেকে নেয়া আইডি কার্ড ফেরত দিয়ে স্বাক্ষর নেয়া সাদা কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শ্রমিকরা তাদের ২৬ দিনের বেতন নিয়ে চলে গেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement