২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মতো জিডিপি প্রবৃদ্ধি সম্ভব হচ্ছে না

-

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অনুযায়ী জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি পাঁচ বছর পরপর দেশে একটি ঢাউস সাইজের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। এতে পরিকল্পনায় ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি অর্জনের একটি গড় লক্ষ্যমাত্রাও দেয়া থাকে। কিন্তু একবার বাদে কোনো বারই এই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়নি। একই সাথে অর্জন করা যায়নি ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রাও। অর্থ বিভাগের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাধীনতার পরপর দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। কিন্তু সেবার এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল ৪ শতাংশ। এরপর দুই বছর মেয়াদি ‘দ্বিবার্ষিক’ একটি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। সেই পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির টার্গেট ছিল ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। কিন্তু এই টার্গেটের বিপরীতে অর্জিত হয়েছিল সাড়ে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
এরপর হাতে নেয়া হয় দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। তাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয় ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। কিন্তু অর্জন করা সম্ভব হয় ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। একইভাবে তৃতীয়, চতুুর্থ ও পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের টার্গেট দেয়া হয় যথাক্রমে ৫ দশমিক ৪০, ৫ ও ৭ শতাংশ। কিন্তু এই টার্গেটের বিপরীতে অর্জন করা যায় ৩ দশমিক ৮০, ৪ দশমিক ১৫ এবং ৫ দশমিক ২১ শতাংশ।
অন্যদিকে, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পকিল্পনায় এই টার্গেট ছিল ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। কিন্তু সেবার অর্জিত হয় ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির টার্গেট দেয়া রয়েছে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। কিন্তু বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মনে নানা সংশয় রয়েছে। আদৌ এত বিশাল প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে কিনা তা নিয়ে দেশের অনেক প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। তারা বলেছেন দেশে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগে একটি স্থবিরতা রয়েছে, আমদানি-রফতানি আশানুরূপ হচ্ছে না। তা হলে কিভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশের ওপরে চলে গেল।
এদিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির অর্জন না হওয়ার পাশাপাশি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। যেমন- প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু সে সময়ে প্রকৃত ব্যয় হয়েছিল ২০৭ কোটি টাকা; যা কিনা লক্ষ্যমাত্রার ৪৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে এর পরের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ব্যয়ের পরিমাণ বেশ উন্নতি ঘটে। দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনায় ব্যয়ের লক্ষ্যর বিপরীতে অর্জনের হার ছিল ৮৭ শতাংশ। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জনের হার ছিল যথাক্রমে ৯৩, ৬৮ দশমিক ৫২, ৭৯ এবং ৭৪ শতাংশ। পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ব্যয়ের লক্ষ্যের বিপরীতে ব্যয়ের হার ছিল ৭৪ শতাংশ এবং ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকে তা ছিল ৯৭ শতাংশ।


আরো সংবাদ



premium cement
টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪ গফরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ

সকল