বেসরকারি শিক্ষকদের বেতনের টাকা ছাড় হলেও বৈশাখী ভাতায় জটিলতা

বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মার্চ মাসের এমপিওর চেক ছাড় হয়েছে। তবে নতুন করে এখন বৈশাখী ভাতার টাকা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আগে বেতনের সাথে বৈশাখী ভাতা দেয়ার কথা থাকলেও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর মার্চ মাসের বেতন পাওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে গতকাল রোববার এসব শিক্ষক-কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতনের টাকা ব্যাংকে চলে গেছে। আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে শিক্ষকরা বেতনের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবেন। বৈশাখী ভাতা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
গতকাল রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো: রুহুল মমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মো: রুহুল মমিন জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন-ভাতার চেক ছাড় দেয়া হয়েছে। আটটি চেকের মাধ্যমে অনুদান বণ্টনকারী ব্যাংকে এসব চেক পাঠানো হয়েছে। আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ওয়েবসাইট থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের এমপিও সিট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। তবে বেসরকারি শিক্ষকদের এখন পর্যন্ত বৈশাখী ভাতা দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। আশা করা হচ্ছে বেতনের টাকা উত্তোলনের পর নতুন করে বৈশাখী ভাতার জন্য পৃথক চেক ছাড় করা হবে।
এ দিকে গত ২৫ মার্চ মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের মার্চ মাসের এমপিওর চেক ছাড় হয়। অনুদান বণ্টনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকে চেক পাঠানো হয়। মাদরাসা শিক্ষকরা আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা তুলতে পারবেন। কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের চেকও ছাড় হয়েছে ২৫ মার্চ।