২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অসহায় দরিদ্রদের পাশে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন

-

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মানবিক সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ঢাকার লাখ লাখ মানুষ। বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। নিয়মিত আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। এ অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। ওয়ার্ডভিত্তিক খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য বিতরণ করছে তারা।
ডিএনসিসি : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে জরুরি খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করছে। গত ৩১ মার্চ থেকে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে ২৮ হাজার ৫০০ দুস্থ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মিরপুরের টোলারবাগে কোয়ারেন্টিনে থাকা এক হাজার পরিবারকে গত ২৯ মার্চ খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ, এক লিটার তেল ও একটি করে সাবান বিতরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নিজ উদ্যোগে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা বিভিন্ন বস্তিতেও রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন। কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঘরহীন মানুষের থাকার জন্য নিজস্ব কোয়ারেন্টিনও তৈরি করেছেন।
ডিএসসিসি : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার হতদরিদ্র, দিনমজুর, কর্মহীন রিকশা ও ভ্যানচালক এবং অসহায়দের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। মেয়র সাঈদ খোকন কয়েকটি স্পটে মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এ ছাড়া ওয়ার্ডভিত্তিক বিতরণের জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে ৫০০ প্যাকেট খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। দরিদ্র মানুষের জন্য এক মাসের হিসাবে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে ডিএসসিসি। প্রতি প্যাকেট এসব খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে আছে ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি তেল, এক কেজি লবণ এবং একটি সাবান। এ ছাড়া যেসব মানুষ লোকলজ্জায় হাত পেতে খাবার নিতে পারেন না তাদের জন্য খোলা হয়েছে হটলাইন। যাতে ফোন করলে বাসায় খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
ডিএসসিসির খাদ্যসহায়তা পাওয়া জিন্নাত হোসেন নামে এক রিকশাচালক বলেন, মেয়রদের এ উদ্যোগ খুবই ভালো। এখন রাস্তায় মানুষ না থাকায় আমাদের আয় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাসায় মজুদ কোনো খাবারো নেই। মেয়র স্যার যে খাবার দিয়েছেন তা আমাদের পরিবারের তিন-চার দিন চলে যাবে। এভাবে সব গরিব মানুষ খাবার পেলে আর কারো কষ্ট থাকবে না।
মেয়র সাঈদ খোকন নগরবাসীর বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সবাই মাঠে কাজ করছি। নাগরিকদের বলছি, আপনারা ঘরে থাকুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। যারা হতদরিদ্র তাদের মধ্যে আমরা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। খাবারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে।


আরো সংবাদ



premium cement