২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যেখানে সেখানে পড়ে আছে ব্যবহৃত মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নগরবাসী
-

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের পর তা সড়ক ও ফুটপাথে ফেলে যাচ্ছেন রাজধানীবাসী। সড়কে পড়ে থাকতে দেখা গেছে এগুলো। ব্যবহৃত এসব জিনিস থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ব্যবহারের পর এগুলো কোনো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অথবা ডাস্টবিনে ফেলা উচিত। এগুলো থেকে আবার বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
ঢামেক অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার খান মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই সব জিনিস ব্যবহারের পর ডাস্টবিন বা কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা দরকার। কার ভেতরে কি আছে কে জানে? তাই সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করে যেতে হবে। তা হলে করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবো। তিনি আরো বলেন, ব্যবহারের পর যেখানে সেখানে মাক্স, হ্যান্ড গ্লাভস ফেলা ঠিক নয়। এর থেকে ভাইরাস ছড়ায়। এই ভাইরাস অন্য মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই নিজে সচেত হন এবং অন্যকেও বাঁচান।
গত শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, বাংলা মটর, শাহবাগ, ঢাবিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, রাজধানীসহ দেশবাসীকে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। কোনো জরুরি প্রয়োজন থাকলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম দিকে মাস্কের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে ফেললেও এখন তা নাগালের মধ্যে রয়েছে। পলিথিনের পঞ্চাশ জোড়া হ্যান্ড গ্লাভস পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ টাকায়। রাবারের তৈরি সাধারণ হ্যান্ড গ্লাভস মিলছে প্রতি জোড়া ২০ থেকে ৩০ টাকায়। ফলে অধিকাংশ রাজধানীবাসী ঘর থেকে বের হলে সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেশের নি¤œআয়ের মানুষদের মধ্যে এসব মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিতরণ করছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন। সবার লক্ষ্য, ইউরোপের দেশগুলোর মতো বাংলাদেশে যেন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে।
মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসসহ অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহারের পর তা সতর্কতার সাথে ময়লার ঝুড়ি বা ডাস্টবিনে ফেলতে বলা হলেও তা মানছেন না অনেকেই। ফলে এসব মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পড়ে থাকতে দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে ও ফুটপাথে।
সড়কে ফেলে যাওয়ার বিষয়টি রাজধানীবাসীর জন্য নতুন করে ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। অসচেতনভাবে যেখানে সেখানে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ফেলে রাখার প্রবণতা ভাইরাসটির সংক্রমণে সহযোগী হতে পারে। শাহবাগের একজন ফুল ব্যবসায়ী হায়দার আলী জানান, ‘মানুষ যেখানে সেখানে মাস্ক, গ্লাভস ফেলে যাচ্ছে, এটা তো অন্যদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ রাস্তায় চলাফেরার সময় এসব জিনিস অন্যদের হাতে-পায়ে লাগতে পারে, বাতাসে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ঢামেক হাসপাতালের সামনে চা দোকানি আমির হামজা জানান, ‘রাস্তার দুই পাশে মাস্ক, গ্লাভস পড়ে আছে। যারা এসব ফেলছেন, তারাও তো কেউ না কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। এটা তো আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’
শুধু রাস্তা বা ফুটপাথ নয়, ব্যবহারের পর ফেলে দেয়া মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসের আধিক্য দেখা গেছে পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেনে, দুই বাড়ির মাঝখানের খালি জায়গা, রাস্তার পাশের খালি জায়গায়, টিনশেড বাড়ির ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নজরে দেয়া দরকার।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল