২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
কেন বরখাস্ত করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ

কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসকসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

-

সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে মারধরসহ হয়রানি করার ঘটনায় কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করা সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা: সুলতানা পারভীনসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। একই সাথে তাদের চাকরি থেকে কেন সাময়িক বরখাস্ত করা হবে নাÑ সেই বিষয়েও কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ১০ দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের। পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত থাকায় তারা এখন বেতনও পাচ্ছেন না।
ডিসির বিরুদ্ধে নিউজ করার কারণে রিগ্যানকে এই হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার ও কর্মস্থলের সহকর্মীরা। এ ঘটনায় ১৫ মার্চ কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানাসহ ডিসি কার্যালয়ের অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন এবং সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের পর গত সোমবার এই চারজনকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রসেডিংয়ের অংশ হিসেবে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১০ দিনের মধ্যে চার কর্মকর্তা জবাব দিতে না পারলে তারা সময় চাইতে পারবেন বলেও জানান জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেন, জবাব পাওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এরপর তদন্ত শেষ হলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ায় প্রথম পর্যায়ে তাদের প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এরপর ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড় শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়। এরপর গভীর রাতে জেলা প্রশাসকের অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের দণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ওই সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ মার্চ বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে আরিফুলের ওই সাজার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিতও করেন আদালত।
জানা যায়, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ডিসি।


আরো সংবাদ



premium cement