২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নদী দূষণমুক্ত-নাব্যতা ফেরানোর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কমিটি

-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সব নদীকে দূষণমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম। গতকাল রোববার সচিবালয়ে ঢাকার চার পাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা বাড়ানোর জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরিসংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দখল, দূষণরোধ ও নাব্যতা বাড়ানোর জন্য ঢাকার চার পাশের নদীগুলোর জন্য একটি এবং কর্ণফুলী নদীর জন্য অন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন হয়েছে আগেই। তৃতীয় মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে পদ্মা, মেঘনা, তুরাগ ও পুংলী নদী নিয়ে। সভায় তৃতীয়টির রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কী কী কাজ হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমরা আজকে পর্যালোচনা করেছি। কর্ণফুলী ও মেঘনা নদী একইভাবে দূষণমুক্ত করতে মাস্টারপ্ল্যানে সংযুক্ত করে নিয়েছি; যাতে নদীতে দূষিত বর্জ্য না যায় এবং নাব্যতা যাতে ফিরে আসে সে জন্য খনন, দুই পাড়ে ওয়াক ওয়ে তৈরি, প্রবাহ ঠিক রাখার লক্ষ্যে কাজ করছি।
নদীর জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদির ল্য হলো একেবারে সম্পূর্ণ নাব্যতা ফিরিয়ে আনা। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনায় কাজ ভাগ করে দিয়ে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করবে এবং বাজেট প্রণয়ন করবে। আর মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় কার্যক্রম আরম্ভ করা। ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
ঢাকার খাল দখল নিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, খালগুলো ইতোমধ্যে সংস্কার শুরু হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে কাজ করব। আপনারা যে দখলের কথা বলছেনÑ আমার মনে হয়, এখন পুনর্দখল হয়েছে বলে তথ্য আমাদের কাছে নেই। যারা ভূমি দখল করেছে, খাল দখল করেছে এগুলো উচ্ছেদ করার জন্য মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দূষণের হাত থেকে বুড়িগঙ্গার অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কত দিন লাগতে পারেÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গার আশপাশে প্রচুর শিল্পকারখানা আছে। বুড়িগঙ্গাতে গৃহস্থালির বর্জ্য যায়। এসব অনেক বিষয় আছে, আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। লন্ডনের টেমস নদীর সম্পূর্ণ নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ৫০ বছর লেগেছে, সাংহাই নদীর ৪০ বছর লেগেছে। আমরাও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। স্বল্পমেয়াদি ফলাফল মানুষ পাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মশা মারতে মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদপেগুলো তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবী থেকে মশা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। সব জায়গাতেই মশা আছে, বাংলাদেশেও মশা আছে। তবে আমার তো মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি, আর সারাণই ফলোআপ করছি, এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য কাজ করা হচ্ছে। আমরা সব সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সব প্রতিষ্ঠান এই ভেক্টর ম্যানেজমেন্টে কাজ করছি। গত বছরের যে অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা আরও বেশি পদপে নিচ্ছি।
দেশে মশার ওষুধের মজুদ রয়েছে এবং কিছু ওষুধ দেশে তৈরি হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে ওষুধে যে মশা মরছে আগামী বছর ওই ওষুধে সেটা মারা নাও যেতে পারে। সে জন্য বহু জায়গায় এ নিয়ে রিসার্চ হয়। এসব বিষয় নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
সভায় স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement