২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল : যেসব কারণে এত বিতর্ক

-

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বুধবার সে দেশের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুমোদন করেছে। বিলটির মূল উদ্দেশ্য হলো সেখানে বসবাসকারী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়া।
আইনটির নাম নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬। এটি ভারতের নি¤œকক্ষ লোকসভায় অনুমোদনের পরই ভারতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে বিশেষ করে আসামে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা বলছে, এই আইন মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের প্রতি ‘পক্ষপাতমূলক’।
কী আছে এই আইনে? : ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে এই বিলের মাধ্যমে। এতে বলা হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধসহ আরও কিছু অমুসলিম ধর্মাবলম্বীরা, যারা নিজের দেশে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে, তারা যদি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে প্রবেশ করে থাকে, তবে তারা এই আইনের আওতায় ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপযুক্ত। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের আগে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এটি।
২০১৬ সালের আগস্ট মাসে বিলটি পার্লামেন্টের একটি কমিটির কাছে পাঠানো হয়। এর পর গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের লোকসভায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়।
যে কারণে বিলটি নিয়ে এত বিরোধিতা : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু জাতিভিত্তিক সংস্থা এর বিরোধিতা করে আসছে। তারা মনে করে এসব অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দিলে সেটি স্থানীয় মানুষদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আসামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আশঙ্কা বাংলাভাষী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিলে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েবে।
আসামভিত্তিকদ্য সেন্টিনাল খবরের কাগজে লেখা হয়েছিলে যে, এই আইনের কারণে ভারতের অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেশি প্রভাব পড়বে।
সেখানে লেখা হয়েছিল, ‘বছরের পর বছর ধরে অন্য অঞ্চলের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীরা বেশির ভাগই আসামে বসতি স্থাপন করেছে’।
এই বিল নিয়ে মতবিরোধের কারণে আসামে বিজেপি মৈত্রী সংগঠন ‘আসাম পিপলস পার্টি’ জোট সরকার ত্যাগ করেছে। প্রতিবাদ হিসেবে আরও পদত্যাগ করেছিলেন আসামে বিজেপির মুখপাত্র মেহদি আলম বোড়া।
এনডিটিভিকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিলটি আসামের ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য সঙ্কট ডেকে আনবে এবং আসাম চুক্তিকে অকার্যকর করতে দেবে।
১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তিতে, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে যেসব বিদেশী নাগরিক সেখানে প্রবেশ করেছে তাদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা আছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আসামের দৈনিক গৌহাটি অসমীয় প্রতিদিন কাগজে লেখা হয়েছিলÑ নাগরিকত্ব বিলের সংশোধনী পাশ হলে আসাম চুক্তি পুরোপুরি মূল্যহীন হয়ে পড়বে।"
বিলটির প্রতিবাদ করে আসছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন, ‘নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন’। তাদের নেতা প্রিতমবাই, সোনাম সেন্টিনাল কাগজকে বলেছিলেন, ‘বিলটি আদিবাসীদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি।’
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসসহ বেশির ভাগ বিরোধীদল মনে করে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দিলে তা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভিতকে দুর্বল করবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় নারী নিহত অভিযোগ করার পর ইনসুলিন ইঞ্জেকশন কেজরিওয়ালকে! হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা তালায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের সহায়তা প্রদান শেরপুরের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট আবারো বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ সিদ্ধিরগঞ্জে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা মানিকগঞ্জে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রকৌশলী নিহত ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন সমাজ বিপ্লবী পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে একটি সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে : মন্ত্রী

সকল