২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পারমাণবিক বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস রাশিয়ার

-

বাংলাদেশকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও বিমান পরিবহন খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে রাশিয়া। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ব্যাংকিং লেনদেন সহজীকরণ পদ্ধতি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, মৎস্য ও পশুসম্পদ খাত, নিউক্লিয়ার একাডেমি প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার মান বাড়িয়ে দক্ষতার উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পারিক সহযোগিতায় ঐকমত্যে পৌঁছছে রাশিয়া ও বাংলাদেশ। এ ছাড়া রাশিয়ার একটি সংস্থা বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ করতে চায়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে তিন দিনের বাংলাদেশ-রাশিয়া ইন্টারগভর্নমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড ইকোনমিক, সাইন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন বৈঠক শেষে গতকাল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব জানান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ। এ সময় রাশিয়া ফেডারেশনের ডেপুটি মিনিস্টার (কৃষি) ইলিয়া ভি সেচটাকোভও বক্তব্য রাখেন। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং রাশিয়ার কৃষি উপমন্ত্রী ইলিয়া ভি. সেচটাকো।
উভয়পক্ষের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেÑ বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ, বেসামরিক বিমান খাত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, ব্যাংকিং লেনদেন সহজীকরণ, ভূতাত্ত্বিক গবেষণা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতি ও কারিগরি খাত। বৈঠকে জানানো হয়, পারমাণবিক বিদ্যুতের পাশাপাশি বিমানের উন্নয়ন, প্যাসেঞ্জার বিমান, পেট্রোবাংলা শক্তিশালীকরণ এবং শিক্ষার মান বাড়াতে রাশিয়া সহায়তা দেবে।
মনোয়ার আহমেদ বলেন, দুই দেশের কমিশনের এটি দ্বিতীয় বৈঠক। আগামী বছর রাশিয়ার মস্কোতে তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, সহজ ব্যাংকিং লেনদেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে রাশিয়ান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ইআরডি সচিব জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যথাসময়ে শেষ করতে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য আমরা একমত হয়েছি। বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি, চামড়া এবং ওষুধ আমদানির জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা পদশে যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে সেখানে রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ জন্য কর ছাড়, মালিকানাসহ বিভিন্ন সুবিধার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঘোড়াশালে বিদ্যমান দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উন্নয়নে রাশিয়া মত দিয়েছে। বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও কারিগরি খাতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে রাশিয়া। এই খাতগুলোতে ঋণ ও প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহযোগিতা করবে দেশটি। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি চুক্তি (প্রাটোকল) সই হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার আহমেদ বলেন, রাশিয়ার নবটেক কোম্পানি স্বল্প সুদে এলএনজি আমদানির সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
রাশিয়ার ডেপুটি মিনিস্টার (কৃষি) ইলিয়া ভি সেচটাকোভ বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ান ফেডারেশন বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়ে আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে রাশিয়া। বাংলাদেশের দক্ষজনশক্তি তৈরিসহ তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement