১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে সাজা দেয়া ২ বিচারক পুরস্কৃত সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক

-

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়ায় দুই বিচারককে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়ে সরকার পুরস্কৃত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী (বার) সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বারের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় সমিতির সহ-সম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য কাজী আকতার হোসেন এবং ওসমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দুই বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন রেখে মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক বিচারক থাকা সত্ত্বেও তাদের কেন নিয়োগ দেয়া হলো? খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেয়াই কি তাদের নিয়োগের মাপকাঠি? তারা দু’জন অবসরোত্তর ছুটিতে চলে গেছেন। তারপরও তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর একজনকে ১৩৭ জনকে সুপারসিড করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার কারণে। তিনি বলেন, আমরা সব সময় বিচারক নিয়োগ করার জন্য আইন করার কথা বলে আসছি। যাতে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা থাকে, সৎ, যোগ্য ও মেধাবীরা নিয়োগ পান। আইনমন্ত্রীও গত এক বা দুই বছর আগে বলেছেন, বিচারক নিয়োগে নীতিমালা হচ্ছে। কিন্তু ৯ জনের নামের তালিকা দেখে আমরা হতাশ। আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। দুঃখজনকভাবে তালিকায় দুইজন বিচারকের নাম দেখা যাচ্ছে যারা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছেন। সাংবাদিকরা দুই বিচারপতির নাম জানতে চাইলে বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিন ও বিচারপতি মো: আক্তারুজ্জামানের নাম উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
অন্য দিকে এ সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ পরই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, কারো বিরুদ্ধে রায় দিলে একজন বিচারক খারাপ হয়ে গেলেন, এ ধরনের মনোভাব ঠিক নয়। একজন বিচারক অনেক রায় দেন, দুই-একটি রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। কোনো রায়ে ক্ষুব্ধ হলে উচ্চতর আদালত আছে। কিন্তু রায় বিরুদ্ধে গেলে আইনজীবী হিসেবে কথা বলা কাম্য নয়। আমি জানি না তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কিছু বলেছেন কি না, যদি বলে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত রাজনীতিবিদ হিসেবে এ কথা বলেছেন।
এ এম আমিন উদ্দিন আরো বলেন, তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। যে দুইজনকে সংবর্ধনা দেননি তারা যেহেতু নেত্রীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন সেহেতু এটা দেননি। উনারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আমার মনে হয় না বিচারকের বিরুদ্ধে বলা আইনজীবীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ সময় তার সাথে ছিলেন সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক কাজী শামসুল হাসান শুভ ও নির্বাহী সদস্য চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।

 


আরো সংবাদ



premium cement