ফরিদপুরে কেরামত হাওলাদার হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
ফরিদপুরে কেরামত হাওলাদারকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এ আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাকিম মো: সেলিম মিয়া।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে পাঁচজন আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে এবং পলাতক দুই আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভাঙ্গার চান্দ্রা ইউনিয়নের সিংগারডাক গ্রামের তোফা মোল্লা (২৬), পলাশ ফকির (৩২) ও সিদ্দিক খালাসী (৩৬), চান্দ্রা ইউনিয়নের চান্দ্রা গ্রামের এরশাদ মাতুব্বর (৩২), নাইম মাতুব্বর (৩৫) ও আনোয়ার মোল্লা (২৮) এবং সদরপুর উপজেলার চর মানাই ইউনিয়নের আমির খাঁর কান্দি গ্রামের সিরাজুল খাঁ (২৭)। তাদের মধ্যে সিরাজুল খাঁ ও নাইম মাতুব্বর পলাতক রয়েছে।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, কেরামত হাওলাদার ভাঙ্গার চান্দ্রা ইউনিয়নের উত্তর লোহারদিয়া গ্রামের মৃত সামছু হাওলাদারের ছেলে। তিনি পিকআপ চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তার বাড়ি থেকে অনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে চান্দ্রা ইউনিয়নের ছলিলদিয়া গ্রামের দীঘলকান্দা বিলের মধ্যে আক্কাস মল্লিকের পুকুরে তার মৃতদেহ গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মৃতের শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। তার হাত পরনের ফুলহাতা গেঞ্জি দ্বারা বাঁধা ছিল। ওই দিনই মৃতের ভাই ইকরাম হাওলাদার বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মিরাজ হোসেন। পরে তদন্ত করেন পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক এস এম মনিরুল হোসেন। তিনি সাতজন আসামির নামে ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম মনিরুল হোসেন মামলার মোটিভ পর্যবেক্ষণ করে অভিমত ব্যক্ত করেন, আসামিরা এলাকায় চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের বিভিন্ন ঘটনার সাথে জড়িত। এ কাজে কেরামতের পিকআপটি ব্যবহার করতে চাইলে তিনি (কেরামত) রাজি হননি। এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন চুরির ঘটনা ঘটলে আসামিদের নাম প্রকাশ করার হুমকি দিত কেরামত। ফলে আসামিরা তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঘটনার রাতে কেরামতকে তোফা মোল্লা মুঠোফোনে ফোন করে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলার প্রস্তাব দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে আনেন। পরে তোফা তার বাকি ছয় সহযোগীর মাধ্যমে গালা কেটে ও পেট ফেড়ে কেরামতকে হত্যা করে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) দুলাল চন্দ্র সরকার বলেন, এ হত্যা মামলার সাতজন আসামির মধ্যে সাতজনকেই সর্বোচ্চ দণ্ড হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা