২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মহাজোট ও ২০ দলীয় জোটের মনোনয়নযুদ্ধ

কিশোরগঞ্জ-২ আসন
মহাজোট ও ২০ দলীয় জোটের মনোনয়নযুদ্ধ - ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ-২ সংসদীয় আসনটি কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া দুই উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শুধু কটিয়াদী উপজেলা নিয়ে ৮টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়; কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কিশোরগঞ্জ-২ সংসদীয় আসনটি পুনর্বিন্যাস করে কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে সীমানা নির্ধারিত হয়। কটিয়াদী উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন এবং পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ আসনে বিএনপি প্রার্থী চারবার, আওয়ামী লীগ প্রার্থী দুইবার এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুইবার জয়লাভ করেছেন। এ আসনে ক্ষমতাসীন আ’লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্য জোটের কে মনোয়ন পাবেন এ নিয়ে হিসাব-নিকাশ চলছে কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মাঝে। পাশাপাশি নিজ নিজ দলীয় হাইকমান্ডের সাথে মনোয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক সম্ভাব্য প্রার্থী জোর লবিং শুরু করে দিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে ক্ষমতাসীন আ’লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেনÑ বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, পুলিশের সাবেক আইজি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, বাংলাশের প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাতিজা, বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আপন মামাত ভাই ও কিশোরগঞ্জ জেলা আ’লীগের বর্ষীয়ান নেতা মঈনুজ্জামান অপু, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন রফিকুল ইসলাম রেনু, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা লায়ন মো: আলী আকবর, কটিয়াদী উপজেলার পাঁচগাতিয়া গ্রামের আলহাজ্ব এম এ মান্নান মহিলা দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার এম এ মান্নান, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবেক মহাপরিচালক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তারিকুল মোস্তাক রানা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ড. জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ও জাতীয় পার্টির কটিয়াদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম মজনু।


অপর দিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্য জোটের মনোয়নপ্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন- কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশফাক আহমেদ জুন, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক পৌরমেয়র কিশোরগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা ফাইমা হোসেন জুবেলীর স্বামী, ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল আমিন আকিল, কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কটিয়াদী ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল মালেক সেলিম ভূঁইয়া, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী সাবেক সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান চান মিয়ার সুযোগ্য সন্তান, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান কাকন, ২০০১ সালে (কটিয়াদী) ও ২০০৮ সালের দু’টি সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মো: ইদ্রিছ আলী ভূঞা ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা অধ্যাপক মো: আজিজুল হক।

মহাজোট : আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আ’লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের ১২ নেতা এবং ২০ দলীয় ঐক্য জোটের আট নেতা মনোনয়নযুদ্ধে বিজয়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের সাথে লবিং-গ্র“পিং তৎপরতায় রয়েছেন। পাশাপাশি দুই জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুইবারের সংসদ সদস্য মরহুম অধ্যাপক ডা: আব্দুল মান্নান দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। সেই নির্বাচনে মনোনয়ন পান পাকুন্দিয়া উপজেলার আ’লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মো: সোহরাব উদ্দিন। নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। একই সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন স্থানীয় উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছেন। তার এ সময়ের দুই উপজেলা কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ার রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, বিদ্যুৎ সংযোগসহ নানা ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি হয়।

এ ছাড়া এলাকামুখী এই সংসদ সদস্য সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন দিন নির্বাচনী এলাকা দুই উপজেলায় অবস্থান করেন। এই সময়ে তিনি কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, ব্রিজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন ও পরিদর্শন ছাড়াও গণসংযোগ, কুশলবিনিময় ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি তিনি মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলেন, বিগত দিনে আমি এলাকার উন্নয়ন ছাড়া কিছু ভাবিনি। আমি নিজের আখের গোছানোর জন্যও রাজনীতি করি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে আ’লীগের একজন কর্মী হিসেবে নিরলস কাজ করে চলেছি। তাই আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী।

আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজি, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত নূর মোহাম্মদ। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নূর মোহাম্মদের তৎপরতায় কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ার নির্বাচনী রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন মাত্রা। তাকে ঘিরে কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।

তার সমর্থকরা বলছেন, সাবেক পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদ জনগণের সেবা করার জন্য নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারাভিযানসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা করে যাচ্ছেন। যেখানে যাচ্ছেন তার সব কর্মসূচি সফল হচ্ছে। তাকে নিয়ে দুই উপজেলার জনগণের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ ও কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ মনোনয়ন প্রসঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি পুলিশ প্রধান হয়ে যেমনিভাবে জনসেবায় নিয়োজিত ছিলাম ঠিক তেমনিভাবে বাকি অবসর জীবনটাও মানুষের পাশে থেকে কাটাতে চাই। আমাকে কোনো দল নির্বাচনী মাঠে নামায়নি। মানুষের জন্য কিছু করতে মাঠে নেমেছি। তবে আ’লীগ থেকে দলীয় মনোনয়নের সুযোগ পেলে মানুষের জন্য অনেক ভালো কিছু কাজ করতে পারব বলে আমি মনে করি।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজলকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনোনয়ন দিয়েছিলেন; কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন ডা: আব্দুল মান্নান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও মনোনয়ন বঞ্চিত হন ১৯৮৬ সালের ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তৎকালী কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী) আসনে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এই রাজনীতিক। দীর্ঘ দিন ধরে কটিয়াদী উপজেলার কৃতী সন্তান জেলা আ’লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ফলে তিনি আগামী নির্বাচনেও মনোনয়নের অন্যতম দাবিদার।

অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বলেন, দলের জন্য সারা জীবন কাজ করেছি। আমার ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি। একজন প্রবীণ রাজনীতিক হিসেবে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবো বলে আমার বিশ্বাস।

মনোনয়ন পেতে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাতিজা, বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আপন মামাত ভাই ও কিশোরগঞ্জ জেলা আ’লীগের বর্ষীয়ান নেতা মঈনুজ্জামান অপু। তিনি মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং করে যাচ্ছেন। তা ছাড়া কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ার নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নিচ্ছেন। আ’লীগের বর্ষীয়ান নেতা মঈনুজ্জামান অপু বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা সরকারের আ’লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পক্ষে যা যা করার দরকার আমরা তাই করব।

মনোনয়নপ্রত্যাশী গণসংযোগে নেমেছেন স্থানীয় আ’লীগের মাঠের নেতা হিসেবে পরিচিত পাকুন্দিয়া উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়াম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু। রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, তৃণমূলে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মধ্যে যাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ও দলীয়ভাবে ঐতিহ্য আছে, দলের প্রতি ত্যাগ আছে তাদের মধ্য থেকেই মনোনয়ন দেয়া উচিত। একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আমিই অন্যতম দাবিদার।

মনোনয়নযুদ্ধে পিছিয়ে নেই কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা লায়ন মো: আলী আকবর, কটিয়াদী উপজেলার পাঁচগাতিয়া গ্রামের এম এ মান্নান মহিলা দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিআরটিএ সাবেক পরিচালক ও আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার এম এ মান্নান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবেক মহাপরিচালক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তারিকুল মোস্তাক রানা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ড. জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ ও জাতীয় পার্টির কটিয়াদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম মজনু।

২০ দলীয় ঐক্য জোট : কিশোরগঞ্জ-২ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত। সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রকাশ্যে কোনো নির্বাচনী গণসংযোগ না চালালেও প্রার্থীরা ভেতরে ভেতরে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে হাইকমান্ডের সাথে লবিং-গ্র“পিং করে চলেছেন। ২০০৭ সাল ছিল দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক আলোচিত অধ্যায়। মরহুম রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকাকালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও তৎকালীন বিরোধী জোটের আন্দোলনের ফলে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। সাথে সাথে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। ক্ষমতায় আসেন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। ২০০৭ সালের স্থগিত সেই নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী) আসনে বিএনপি জোটের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন সেই সময়ের এলাকার উন্নয়নের রূপকার বিএনপি নেতা বিশিষ্ট শিল্পপতি আশফাক আহমেদ জুন। আগামী নির্বাচনেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগ করছেন; কিন্তু তার বিরুদ্ধে নিজ দলেরই অনেক নেতা মাঠে সরব রয়েছেন।

ইতোমধ্যে তারা দুই উপজেলার ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন। এসব প্রার্থীদের নিয়ে দুই উপজেলায় চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মহাসমীকরণ পাল্টে যেতে পারে। সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারই হোক বা দলীয় সরকারের অধীনেই হোক বিএনপির হারানো আসন ফিরে পাবেন বলে শতভাগ আশাবাদী তারা।

১৯৭৩ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৮টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে শুধু কটিয়াদী উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল কিশোরগঞ্জ-২ আসন। ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর দুইবারের নির্বাচিত এমপি মেজর (অব:) আক্তারুজ্জামান রঞ্জন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অধ্যাপক ডা: আব্দুল মান্নানের নিকট অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ডা: আব্দুল মান্নান এমপি নির্বাচিত হলেও সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেই সময়কার বহুল আলোচিত হাওয়া ভবনের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন কটিয়াদী উপজেলার চারিয়াপাড়া গ্রামের কৃতী সন্তান বিশিষ্ট শিল্পপতি আশফাক আহমেদ জুন। ২০০১ সালে তিনি বিএনপিতে প্রবেশ করেন এবং কটিয়াদী উপজেলার বিএনপির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নের মিশন শুরু করেন। তা চলে ২০০৭ সাল পর্যন্ত।

২০০৮ সালে তিনি কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যেসব আন্দোলন চলছিল সেসব কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করে সফল করেন। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির সহসভাপতি। বিএনপির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সশরীরে অংশ গ্রহণ করেন। উন্নয়নের অংশ হিসেবে কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার মধ্যে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সেনাসমর্থিত জরুরি সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আশফাক আহমেদ জুন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত হন। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন পান পাকুন্দিয়া উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: ইদ্রিস ভূইয়া। ফলে আশফাক আহমেদ জুন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। দুই উপজেলায় গণসংযোগের পাশাপাশি উঠান বৈঠক, বিভিন্ন মতবিনিময় সভা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তার সমর্থক জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম ফারুক চাষী বলেন, আশফাক আহমেদ জুনের সাথে কারো তুলনা হয় না। কারণ তিনি অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান, সদালাপী ও স্বচ্ছ রাজনীতির অনুসারী। সাধারণ জনগণ তাকে সৎ ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসেবে জানেন। কেন্দ্রীয়ভাবে তাকে বিএনপি মনোনয়ন দিলে তিনি কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সব গ্র“পিং ভেঙে সব নেতাকর্মী একসারিতে মিলিত করে এ আসন পুনরুদ্ধার করতে পারবেন বলে জানান।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দুর্দিনের কাণ্ডারি পাকুন্দিয়া উপজেলার গণমানুষের নেতা অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিনের সমর্থকেরা বলছেন- অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তৃণমূলের একজন পরীক্ষিত নেতা। তিনি ১৯৭৯ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দলকে প্রতিষ্ঠিত পর্যায়ে নিয়ে আসেন। তিনি পাকুন্দিয়া পৌরসভার জননন্দিত মেয়র ছিলেন। সাবেক পৌরমেয়র হিসেবে এখনও তার দলের তৃণমূলপর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কিশোরগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও পাকুন্দিয়া উপজেলার আহবায়ক ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, ২০০১ সাল থেকে সব নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও আমি বঞ্চিত হই। তৃণমূলে দলের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে আমি দলীয় মনোনয়ন পাবো বলে আশায় বুক বেঁধে রয়েছি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা মহানগর সাবেক যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তিতুমীর কলেজের সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরের সাবেক শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল আমিন আকিল। তিনি ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িত। যখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় ছিল তখন বিএনপি নেতা রুহুল আমীন আকিল কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী) এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ২০০১ সাল থেকে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে আসছেন। বর্তমানেও তিনি যখন সময় পান এলাকার সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে উৎসর্গ করছেন। বিএনপির মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেও চলেছেন। পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে।

রুহুল আমীন আকিল বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি দলের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড আমাকে মনোনয়ন দেন তবে আমি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসনটি ফের দখলে আনতে পারব।

দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর গ্রামের কৃতী সন্তান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কটিয়াদী ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল মালেক সেলিম ভূইয়া। এ আসনের দুই উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার অবদান রয়েছে। বিএনপি ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার জন্য তাবলিগ জামাতের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে জনমানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে যাচ্ছেন এই বিএনপি নেতা। তা ছাড়া সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুক, নানা রকম শুভেচ্ছা বিনিময়ের পোস্টারিং এবং বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে দুই উপজেলায় প্রায় সব কয়টি ইউনিয়নেই নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন।

তার সমর্থক তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা বলেন, আমাদের নেতা ভিপি সেলিম নির্বাচনী গণসংযোগে অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। আগামী নির্বাচনে ভিপি সেলিমকে মনোনয়ন দিলে আমরা মসজিদমুখী মুসল্লিরা তার নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ব। এটা তার নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মনোনয়নপ্রত্যাশী ভিপি সেলিম বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। দীর্ঘকাল ধরে আমি বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করছি। জেল-জুলুম হুমকি উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃস্বার্থ মুক্তির জন্য জনগণের দোয়া ও সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী নির্বাচনে দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনয়ন দিলে আল্লাহর রহমতে জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবো।

দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং করছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সুইডেন প্রবাসী শহীদুজ্জামান কাকন। রাজনৈতিক পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা মরহুম নুরুজ্জামান চান মিয়া ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি ছিলেন। বস্তুত ছাত্রজীবন থেকে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

মনোনয়নদৌড়ে পিছিয়ে নেই ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন কিশোরগঞ্জ-১ (পাকুন্দিয়া- হোসেনপুর) ও ২০০৮ সালের পুনঃবিন্যস্ত কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী মো: ইদ্রিস আলী ভূইয়া।

এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবিরনেতা, কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের সহকারী সম্পাদক, কিশোরগঞ্জ পৌর মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজিজুল হক আগামী নির্বাচনে ২০ দলীয় ঐক্য জোটের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য গণসংযোগের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে লবিং গ্র“পিং শুরু করেছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জামায়াত প্রার্থী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।

জামায়াত নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা বলেন, দুই উপজেলাতেই জামায়াত নেতা অধ্যাপক আজিজুল হকের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। তাই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় ঐক্য জোট যদি জামায়াত নেতাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।

তা ছাড়া বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হলেও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের পরপর দুই বারের সাবেক এমপি মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান রঞ্জনকে নিয়ে দুই উপজেলায় ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। দুই উপজেলায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বমহলে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী সরকার হটানো আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী) আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রথম বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। সেই সময় বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন সাধন করেছিলেন। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা দেখে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন দেয় এবং নির্বাচনে তিনি অনেক ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্য জোটের প্রত্যেক প্রার্থী নিজের অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে বেশ জোরেশোরে এ আসনের দুই উপজেলাতেই চালাচ্ছেন নির্বাচনী তৎপরতা। এ পরিস্থিতিতে মহাজোট ও ২০ দলীয় ঐক্য জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি : মিশা সভাপতি, ডিপজল সম্পাদক ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল