১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যশোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ

যশোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ - ছবি : নয়া দিগন্ত

যশোরের কেশবপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ ও একলাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসাথে এ মামলা থেকে আনিসুরের মা নাসিমা বেগম এবং বাবা গোলাম মোস্তফাকে খালাস প্রদান করেছেন।

রোববার (৭ জুলাই) যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক গোলাম কবির এ আদেশ দেন।

ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত আসামি আনিসুর রহমান ওরফে রিমন ওরফে সাগর কেশবপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোস্তফা দফতরির ছেলে। স্ত্রী নিহত মেরিনা খাতুন একই উপজেলার গড়ভাঙ্গা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর পিপি সেতারা খাতুন।

মামলা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রিপন ও মেরিনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রিপনকে নগদ চার লাখ টাকা দেয় মেরিনার পরিবার। এর কয়েকদিনের মাথায় ফের দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে রিপনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। টাকা না দেয়ায় মেরিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।

একপর্যায়ে ২০২২ সালের ৩ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে রিপন নেশা করে বাড়িতে ফেরে। এসে দুই লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা না দেয়ায় মেরিনাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে নেয়া হয় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থার অবনতি হলে মেরিনাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আট দিন চিকিৎসার পর ১১ মে দুপুরে মারা যান মেরিনা। এরপরই পালিয়ে যায় স্বামী রিপন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা উল্লেখিত তিন আসামি এবং রিপনের খালাত ভাই পাঁজিয়া গ্রামের আল আমিন ও রিপনের চাচা সাহেব আলীসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর রিপন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলাটি তদন্ত করে কেশবপুর থানার এসআই লিখন কুমার সরকার চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। একইসাথে আল আমিনকে অব্যাহতির আবেদন জানান। বিচারক চার্জ গঠনের সময় এ মামলার দুই আসামি সাহেব আলী ও আল আমিনকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে রিপনকে ফাঁসির আদেশ ও তার বাবা-মাকে খালাস প্রদান করেন।


আরো সংবাদ



premium cement