১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নড়াইলে মধুমতি নদী ভাঙনের কবলে শতাধিক পরিবার

- ছবি - ইউএনবি

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে মধুমতি নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, গাছ, মাদরাসা, মসজিদ বিদ্যুৎয়ের খুঁটি।

ভাঙনের মুখে পড়ে অনেকেই বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের কয়েক শ’ পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার মধুমতি নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন এখানকার মানুষ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড মধুমতি নদীর শিয়রবর পয়েন্টে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা এবারের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।

রামকান্তপুর গ্রামের সাদ্দাম, ওসমান মুন্সীসহ কয়েকজন জানান, মধুমতি নদীর ভাঙনে তাদের বসতবাড়ি বার বার নদীগর্ভে চলে গেছে। এসব মানুষেরা নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। যেভাবে নদী ভাঙছে তাতে করে বসতভিটা কখন নদীগর্ভে চলে যায়, তার ঠিক নেই। এবার বাড়ি ভাঙলে মাথাগোঁজার ঠাঁই থাকবে না ।

একই গ্রামের তোতা মিয়া বলেন, ‘তাদের পাঁচ বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এ পর্যন্ত তিনবার ভাঙনের শিকার হয়েছি। এবারও ভাঙনের মুখে আছি, জানি না কী হবে।’

আরফিন মোল্যা জানান, বসতভিটা ছাড়াও আবাদি জমি, সুপারি বাগান, পুকুরসহ ভাঙনে পাঁচ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করছি। তাও এবার ভাঙনের মুখে রয়েছে। এবার ভাঙলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় থাকব বলতে পারি না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আশিকুল আলম বলেন, মধুমতি নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, মাদরাসা, মসজিদ ভাঙনের শিকার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নদীগর্ভে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে।

তিনি মধুমতি নদীর ভাঙন রোধে জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মুর্তজার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের ভাঙন রোধে আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। এ কারণে কোনো ধরনের কাজ করতে পারছি না। তবে বরাদ্দ পেলে আগামীতে ওই এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।’

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement