১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইবিতে নগ্ন করে র‌্যাগিং : ৩ ছাত্রলীগকর্মী বহিষ্কার

ইবিতে নগ্ন করে র‌্যাগিং : ৩ ছাত্রলীগকর্মী বহিষ্কার - ছবি : নয়া দিগন্ত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে নগ্ন করে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগকর্মী তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক এ বহিষ্কার করা হয়।

রোববার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক তিন বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত তিন শিক্ষার্থীকে হল থেকেও বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া অন্য দুই বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট দুই শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড যুক্ত না হতে সতর্ক করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মুদাচ্ছির খান কাফি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাগর প্রামাণিক ও মো: উজ্জ্বল। তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী। সাময়িক বহিষ্কৃতদের কেন চূড়ান্ত শাস্তি প্রদান করা হবে না এ মর্মে সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠ্যক্রমবিষয়ক সম্পাদক নাসিম আহমেদ মাসুম ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মিসনো আল আসনাগুয়ীকে সতর্ক করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ভুক্তভোগীকে ডাকেন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষাবর্ষের মুদাচ্ছির খান কাফী এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ সাগর ও মো: উজ্জ্বল। এ সময় ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে বেঞ্চের ওপর দাঁড় করিয়ে রাখেন তারা। এছাড়া তাকে রড দিয়ে আঘাত করেন ও নাকে খত দেওয়ান অভিযুক্তরা।

এদিকে ঘটনার পরে বিষয়টি ঘরোয়াভাবে সমাধানের চেষ্টা করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে লালন শাহ হলে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত ও গণরুমের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসেন শাখা ছাত্রলীগ কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী নাসিম আহমেদ মাসুম। এ সময় বিভাগের সিনিয়রদের কাছে ঘটনার কথা বলার কারণে ভুক্তভোগীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। একইসাথে এ ঘটনা যেন বাইরের কেউ না জানে এ মর্মে তাকে হুমকিও দেন মাসুম।

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, যেহেতু অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হয়েছে সেক্ষেত্রে হল প্রশাসনের সকলের সাথে বসে হল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমান বলেন, ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।


আরো সংবাদ



premium cement