আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন দুর্ঘটনায় পঙ্গু কুদ্দুসের
- ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
- ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৩
পরিবহনশ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস (৪৩) কখনো কারো কাছে হাত পাতেননি। কঠোর পরিশ্রমী আর আত্মবিশ্বাস এ মানুষটি এখন জীবনের খেই হারিয়ে ফেলেছেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কেবলই বেঁচে থাকার আকুতি।
স্ত্রী, কলেজছাত্রী এক মেয়ে, দুটি শিশু সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই কঠিন হয়ে পড়েন তিনি।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুর্ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুসের মেরুদণ্ডের চারটি ও বুকের একটি হাড় ভেঙে গেছে। তার চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ নেই। জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কিভাবে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠবেন তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
ট্রাকের হেলপার আব্দুল কুদ্দুস ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের আব্দুল মালেক মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, দরিদ্রঘরের সন্তান হলেও আব্দুল কুদ্দুস খুবই পরিশ্রমী ছেলে। কিছুদিন আগে যশোরের নওয়াপাড়ায় ট্রাকে সার লোড করার সময় পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের চারটি ও বুকের একটি হাড় ভেঙে যায়। প্রথমে তাকে ঝিনাইদহ সদরে ও পরে ঢাকায় জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালে প্রফেসর ডা. রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। ২৭ মার্চ বুধবার তার মেরুদণ্ডের অপারেশন করার কথা। এজন্য তার প্রয়োজন আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ টাকা। কিন্তু তার আর্থিক অবস্থা এতই খারাপ যে অপারেশনের টাকা জোগাড় করার মতো সঙ্গতি নেই।
আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী লিপি বেগম জানান, তার বড় মেয়ে কণা খাতুন ঝিনাইদহ সরকারি মহিলা কলেজে পড়ে। দুই শিশু সন্তান লিখন ও রায়হানকে নিয়ে অথৈ সাগরে পেড়েছেন। সংসারে একমাত্র কর্মক্ষম ছিল তার স্বামী আব্দুল কুদ্দুস। তিনি সুস্থ হয়ে না উঠলে একটি পরিবার শেষ হয়ে যাবে। গত এক মাস তিনি সন্তানদের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারছেন না বলে জানান। লিপি বেগম তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্য প্রর্থনা করে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেছেন, আপনাদের দান আমি ও আমার সন্তানদের বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা